আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই মামলা আতঙ্কে ভুগছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিগত ১৬ বছরে দলটির হয়ে যারা রাজপথে সরব ছিলেন, তারা সকলেই চলে গেছেন আত্মগোপনে। যারা এখনো আত্মগোপনে যেতে পারেননি, তারা বিভিন্ন মামলাতে গ্রেপ্তার হচ্ছেন বা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। 

এমন অবস্থায় কয়েকজন তারকার মাঝেও নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদেরই একজন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। 

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন এই অভিনেত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির পক্ষ থেকে মনোনয়নও তুলেছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণাতেও ছিল মাহির সরব উপস্থিতি।

সবকিছু মিলিয়ে সরকার পতনের পর মামলা আতঙ্কে ভুগছেন এই অভিনেত্রী। ৫ আগস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যতীত কোথাও দেখা মিলছে না মাহির। মোবাইল নম্বর কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দিচ্ছেন না। শুটিং ফ্লোরেও দেখা মিলছে না। 

মাহির ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। বিগত সময়ে দলটির হয়ে প্রচার-প্রচারণায় সরব থাকায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা আতঙ্কেও রয়েছেন তিনি। 

তারা মনে করছেন, সম্প্রতি সময়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনের কয়েকজন তারকার নামে মামলা হওয়ায় এই আতঙ্কের সৃষ্টি। 

যদিও কয়েকদিন আগে দেশত্যাগ করতে গিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের জেরার মুখে পড়েন মাহি। সেখানে তাকে দেড় ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। 

এনএইচ