আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচার বহির্ভূত হামলা, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যেসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা। 

সম্প্রতি রাজশাহীতে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুতে মব জাস্টিস নিয়ে নানা রকম প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই নতুন বাংলাদেশে এ ধরণের বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

তাদেরই একজন নির্মাতা আশফাক নিপুণ। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা বলেছেন, গণপিটুনি, সম্মিলিত হামলা বন্ধ করেন। অপরাধী হলে আইনের হাতে তুলে দেন। আইনের শাসন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার আসবে না। মব জাস্টিসে লাভ শুধু হাসিনার, মনে রাইখেন।

তার সেই স্ট্যাটাসে ভক্তরাও একমত পোষণ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘গণপিটুনি, সম্মিলিত হামলা, মব জাস্টিস যদি একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, তাহলে সত্য এবং ন্যায়ের কথা বলার জন্যও এসবের শিকার হতে পারেন ভবিষ্যতে। আবার আজকে যারা এমন করছেন, তাদের সাথেও একই ঘটনা ঘটবে না এমনটাও বলা যাচ্ছে না। বন্ধ হোক এসব।’

এর আগে মব জাস্টিস নিয়ে কথা বলেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এক স্ট্যাটাসে রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন ‘রাজশাহীর ঘটনাটা মনটা দুমড়ে মুচড়ে দিলো। ছোট বাচ্চাটার দিকে কি আমরা তাকাতে পারবো? যদি তার বাবা অপরাধ করেও থাকে কে মবকে লাইসেন্স দিলো বিচার করার? মবরাজ থামান। শৃঙ্খলা আনেন। না হলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না।’

পুলিশ বাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এ পরিচালক বলেন, ‘আমি জানি পুলিশ বাহিনীকে দুর্বল করে দেয়া হইছে। কিন্তু এর সমাধানের পথে তো হাঁটতে হবে। সবাই ঐক্য ধরে রেখে মববাজি থামাতে হবে। পুলিশকে আরো কনফিডেন্স দিয়ে এঙ্গেজ করতে হবে।’ 

ফারুকী বলেন, ‘বিপ্লবের কৃতিত্ব কার, কে ক্রিম খাবে, কাকে ঠেকায়া কাকে উঠাতে হবে এটা পরেও করা যাবে। এখন এইটা নিয়া বিজি থাকলে বিশৃংখলাই কেবল বাড়বে। ফ্যাসিস্ট শক্তি এটাই চায়। এখন ভাবেন তার চাওয়া পূরণ করবেন নাকি ইফেকটিভ সরকার কায়েম করবেন।’

পোস্টের শেষে এই নির্মাতা বলেন, ‘আপনারা যারা এসব করতেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, এইসবের মধ্য দিয়ে আপনারা যে ভয়ানক অপরাধই করছেন তা না, একই সাথে দেখেন আপনারা সবাইকে কোন আলাপে ব্যস্ত করে দিতেছেন? অথচ আমাদের আলাপ হওয়ার কথা ছিল ফ্যাসিস্ট শক্তির অপকর্মের শ্বেতপত্র, রিফর্ম, এবং জনগণের অংশগ্রহণে একটা কার্যকর গণতন্ত্র।’

এনএইচ