গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কেউ বা এখনো পালানোর চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অপরাধীরা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সেজন্য বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করেই কাউকে দেশত্যাগ করতে হচ্ছে। যে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মুখে পড়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। এসময় খোঁজ করা হয় নথিপত্রে। 

সম্প্রতি ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন মাহি নিজেই। যেখানে অভিনেত্রী জানান, বিমানবন্দরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।

মাহি বলেন, ‘এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কিনা। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।’

পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন, দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মন্দ কিছু নয়। 

প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মাহিয়া মাহি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দলটির থেকে মনোনয়ন না পেয়ে গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়েছেন তিনি। তবে নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেননি। হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষেই। 

এনএইচ