সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার দুই ছেলে শাদমান মনোয়ার অমি ও সামির মনোয়ার অংশ নিয়েছিলেন। 

অভিনেতা বলেন, ‘আন্দোলনে আমার দুই ছেলেও আপনাদের পাশে ছিল। আমি বলেছি, তোমারা যাও, কোনো অসুবিধা নাই। যদি মরণ থাকে, থাকবে। হয়তো আপনরা চেনন না ওদের’। 

ডিপজলের এমন বক্তব্যের পর তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানীর গাবতলীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। যেখানে এই অভিনেতার গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় গাবতলী বাস টার্মিনালে এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন কয়েকশ বিক্ষোভকারী। 

যেখানে তারা জানান, মনোয়ার হোসেন ডিপজল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে তার ছেলেদের সম্পৃক্ততার কথা বলে যে মিথ্যাচার করেছেন তা শহিদদের রক্তের সঙ্গে চরম কৌতুকের শামিল। সে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী এবং এই কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা। তার এই মিথ্যা বক্তব্যের কারণে আজ গাবতলী ও এর আশপাশের এলাকায় ছাত্র-জনতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। 

ডিপজলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বাংলা চলচ্চিত্রকে অশ্লীলতা মুক্ত করতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।   

গাবতলীর স্থানীয় বাসিন্দা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও গাবতলী পশুরহাটের সাবেক ইজারাদার লুৎফর রহমান সিআইপি বলেন, আমি গত ২৪ বছর গাবতলীর গরুরহাট চালিয়েছি। এই বছর কুরবানির ঈদের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপির সহায়তায় সেই গরুরহাট জোর করে নিয়ে গেছে ডিপজল। এছাড়া আওয়ামী লীগের আমলে শাহআলী মাজার, স্কুল পরিচালনা কমিটি, বাজার কমিটির সদস্যও হয়েছেন ডিপজল। 

তিনি বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নিখিলের পক্ষে নিয়মিত মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ করেছেন ডিপজল। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ডিপজলের ছবি সংবলিত পোস্টার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনি এলাকা। ডিপজল কট্টর আওয়ামী লীগ- এখন ভোল পাল্টালে হবে না।

এনএইচ