ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপরই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। 

আওয়ামী লীগ সভাপতির দেশ ছাড়ার খবরে দলটির মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মীরাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ দেশের ভেতরেই আত্মগোপনে চলে যান। 

যাদের একজন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এই নায়কের। 

ফেরদৌস কি দেশে আছেন, নাকি বাহিরের কোনো দেশে চলে গেছেন— তা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এক খবর। 

যেখানে দাবি করা হয়- ফেরদৌস নাকি ওপার বাংলার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে পশ্চিমঙ্গে সেই নায়িকার বাড়িতেই অবস্থান করছেন। 

বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঋতুপর্ণা। জানিয়েছেন, ফেরদৌস তার বাড়িতে নেই। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন। ফেরদৌসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও হয়নি। 

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমার সঙ্গে ফেরদৌসের কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছি। ফেরদৌস কি তার দেশে রয়েছেন, নাকি ভিন্ন কোনো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন, সে বিষয়েও আমার কাছে কোনো খবর নেই।’

ফেরদৌসকে ভালো মানুষ উল্লেখ করে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘ফেরদৌস একজন ভালো মানুষ। চলচ্চিত্রের বড় তারকা। আমি চাই, সে যেখানেই থাকুক নিরাপদে থাকুক। ভালো থাকুক।’

জানা গেছে, রোববার (৪ আগস্ট) রাত পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ফেরদৌস। এর দুইদিন আগেও বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। 

তবে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) থেকে ফেরদৌসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নায়কের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও ৪ আগস্টের পর কোনো স্ট্যাটাস শেয়ার করতে দেখা যায়নি।

এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, পরিবার নিয়ে ফেরদৌস দেশ ছেড়েছেন। যদিও নায়কের দেশ ছাড়ার খবরের এখনও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি তার পিএস-এর নাম্বারও বন্ধ রয়েছে। 

এনএইচ