আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অনেক তারকাই বিগত দিনে নিজেদের ওপর অত্যাচার, অন্যায় নিয়ে মুখ খুলছেন। বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। এবার উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী এলিনা শাম্মীও এক নির্মাতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দাঁড় করিয়েছেন। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে সেই নির্মাতাকে চাটুকর, দালাল আরও নানা তকমা দিয়ে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও নিজের স্ট্যাটাসে কোথাও সেই পরিচালকের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। 

স্ট্যাটাসের শুরুতেই এলিনা শাম্মী লিখেছেন, ‘একজন চাটুকার ডিরেক্টর, সাবেক সরকারের আমলে দালালি, চাটুকারিতা, তোষামোদি করে টিকে থেকেছে। শিল্পীদের দিয়ে কাজ করিয়ে পারিশ্রমিক দেয়নি, দুই-চারজন প্রধান চরিত্র ছাড়া বাকিরা আর কোনোদিন তার কাছ থেকে পারিশ্রমিক আদায় করতে পারেনি। কথার ফুলঝুরি ছড়িয়েছে সবসময়। চাপাবাজিতে সে বদ্ধপরিকর। এখন আবার সুযোগ বুঝে চাটুকারি আর তোষামোদি শুরু করেছে। প্রতিদিন নীতিবাক্য পোস্ট করছে অবলীলায়। লজ্জা শরমের বালাই নাই, একজন নীতিহীন, ঠগবাজ, ধান্দাবাজ মানুষ যে শিল্পীর যথাযথ সম্মান দেয় না, প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেয় না তার ওয়ালে এসব নীতিবাক্য দেখলে সত্যিই গা জ্বালা করে।’

এরপর সেই নির্মাতার উদ্দেশে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এত চেহারা পাল্টে কি হবে? চেহারা পাল্টে অন্যায় করে কেউ ছাড় পায়নি এ পর্যন্ত, আপনিও পাবেন না। তাই এসব নটাংকি বাদ দেন। নিজেকে পারলে শুধরান, নয়তো চুপ থাকেন। আপনাকে মানুষ চেনে, এসব নীতিবাক্য দিয়ে একজন হাসির পাত্র সাজছেন।’

এলিনা শাম্মীর সেই স্ট্যাটাসে সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্তরা- সকলেই সেই পরিচালকের নাম জানতে চেয়েছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এখন বলতে সমস্যা কি? তার নাম কেনো আড়াল করছো?

তাদের প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেছেন, সামনে তার একটা সিনেমা মুক্তি পাবে। তাই নামটা বলিনি, চাই না সিনেমাটার ক্ষতি করতে। তবে বলবো, ছবিটি মুক্তির পর।

প্রসঙ্গত, গুণী নির্মাতা শাহ আলম কিরণের ‘একাত্তরের মা জননী’র মধ্য দিয়ে সিনেমায় পা রাখেন এলিনা শাম্মী। এরপর ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছেন নাটক ও সিনেমায়। সবশেষ তাকে দেখা গেছে বন্ধন বিশ্বাসের ‘ছায়াবৃক্ষ’-এ। শাকিব খানের আসন্ন ‘দরদ’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।

এনএইচ