শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এমন অবস্থায় এক নতুন বাংলাদেশের চিত্রের দেখা মিলেছে। 

যেখানে ধর্মের ভেদাভেদ চোখে পড়ছে না। মুসলিমরা হিন্দুদের মন্দির পাহাড়া দিচ্ছেন, আবার রাতের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় সকলে একজোট হয়ে ডাকাত ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। 

সবসময় ঐক্য ও সমতার এমনই এক বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা। 

শনিবার (১০ আগস্ট) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছবির হাটে শিক্ষার্থীদের সংহতি জানানো দৃশ্যমাধ্যম শিল্পী সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

মিথিলা বলেন, ‘আমরা এখন একটা নতুন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যা আগে কখনো দেখিনি। এই সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই আমাদের মধ্যে যেন বিভক্তির সৃষ্টি না হয়।’

অভিনেত্রী বলেন,  ‘দেশের অনেক জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে, সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। এমন কাজকে আমাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। নিন্দনীয় অরাজকতায় অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কিন্তু এসবের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে এমন ঘটনাও কিন্তু আমরা দেখেছি।’

সেসব ঘটনা উল্লেখ করে মিথিলা বলেন, ‘রাতে ডাকাতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে দুর্বত্তদের রুখে দিতে দেশের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে লড়ছে। পাড়ায় পাড়ায়, প্রতিবেশীরা একত্র হয়ে ডাকাত প্রতিহিত করছে। এই একতার বাংলাদেশটাই আমরা চাই।’
 
সবশেষে মিথিলা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভীষণ একতাবদ্ধ। এই একতা নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। একতার শক্তি দিয়ে একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যেখানে শুধু সাম্য, সমতা থাকবে। কোনো বিভক্তি থাকবে না।’

এনএইচ