বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে সরব ছিলেন তারকারা। তবে ব্যতিক্রমও ছিলেন কেউ কেউ। সরকার ও ছাত্রদের মুখোমুখি অবস্থানে পুরো সময়ই নীরব ভূমিকায় দেখা মিলেছে তাদের। 

যাদের একজন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই চুপ থাকতে দেখা গেছে এই তারকাকে। তবে সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের নীরবতা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। 

যেখানে চঞ্চল দাবি করেছেন, তার মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশী সক্রিয় হতে পারেননি।

সেই স্ট্যাটাসে অভিনেতা লিখেছেন, ‘আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি। আমার নাম ব্যবহার করে কোনো বিদেশি/দেশী পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়, তার দায় আমার নয়। কারণ এখন পর্যন্ত আমি কোনো পত্র পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি।’

এরপর চঞ্চল উল্লেখ করেন, ‘আমি সাধারণ একজন শিল্পী। পেশাগত কারণ ছাড়া কোনো কিছুর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশী সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।’

এদিকে সেই স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে ভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই তারকা। অনেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়ানোয় তার কঠোর সমালোচনাও করেছেন। 

তবে কেউ কেউ আবার কটাক্ষের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। অভিনেতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। 

বিষয়টি চোখে পড়েছে চঞ্চল চৌধুরীর। এ প্রসঙ্গে একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা বলেন, ‘মন্তব্যগুলো চোখে পড়েছে। আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, একটা মন্তব্যও মুছব না। ধরে নিলাম, দেশের মানুষের কাছ থেকে এগুলো আমার শিল্পী জীবনের অন্যতম স্বীকৃতি। যাদের জন্য গত তিনটা দশক অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। সততার ভেতর দিয়ে নিজেকে পরিচালিত করেছি।’

চঞ্চল আরও বলেন, ‘চাইলেই এমপি হতে পারতাম। মন্ত্রী হতে পারতাম। কিন্তু দেশের মানুষের প্রিয় শিল্পী হয়ে মরতে চেয়েছি। গালির মাধ্যমে এখন সেই স্বীকৃতি পাচ্ছি। গালিগুলো মুছব না, পুরস্কার হিসেবে রেখে দিলাম।’

এনএইচ