বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশজুড়ে চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের একমাত্র সংগীতভিত্তিক টিভি চ্যানেল গানবাংলার ভবনে ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে এই সহিংসতায় ঘটনা ঘটে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, গানবাংলা চ্যানেলের ৮ থেকে ১০ তলা এই ভবনের বাইরের প্রায় সব গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমনকি ভেতরে ঢুকে সকল যন্ত্রাংশ ভেঙে বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ভবনের সামনেই আগুন জ্বালানো হয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস জানিয়েছেন, ভবনের বেশিরভাগ ফ্লোরজুড়েই ছিলো চ্যানেলটির স্টুডিও সেটআপ, শুটিং ফ্লোর, সাউন্ড সিস্টেম, এডিটিং প্যানেল, সম্প্রচার যন্ত্রসহ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রাংশ। যেগুলো ক্ষতির শিকার হয়েছে। 

এদিকে গানবাংলা চ্যানেলে হামলার পর রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাপস। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘জীবনযুদ্ধে আমি এক লড়াকু সৈনিক। আমার মৃত্যু হয় রোজ। তবুও জন্ম নেই দৈনিক। আমি তাপস।’

এরপর এই সংগীতশিল্পী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বাংলাদেশের একমাত্র সংগীত বিষয়ক টেলিভিশন চ্যানেল গানবাংলা হত্যা করে যারা লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করলেন তাদের প্রতি একটাই প্রশ্ন, কেন?

প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকের প্রোফাইল ও কাভারে লাল ছবি সংযুক্ত করেন তাপস।

এনএইচ