কান্না থামাতে পারছেন না আবুল হায়াত
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। অনেকেই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এমন অবস্থায় দেশজুড়ে কারফিউ চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে।
বিজ্ঞাপন
যদিও স্বজন হারানোর বেদনায় এখনো অনেকেই কেঁদে উঠছেন। তাদেরই একজন দেশের প্রবীণ অভিনেতা আবুল হায়াত। কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় এই অভিনেতার বিল্ডিংয়ের এক ছেলে মারা গেছে। যে ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমাদের বিল্ডিংয়ের একটি ফ্ল্যাটের এক ছেলে মারা গেছে, তার নাম ফারহান ফাইয়াজ। ওর মা-বাবা এবং আমরা একই বিল্ডিংয়ে থাকি। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। সরকার অনেক দেরি করে ফেলেছে। যেটা এক দিনে সমাধান সম্ভব ছিল, সেটা তারা অনেক সময় নিয়ে করল, কষ্টটা এখানেই লাগে। আমার চোখ এখনও ছলছল করছে। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি।
পুরো ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন প্রবীণ এই অভিনেতা। তিনি বলেন, আমি খুব মর্মাহত। বৃহস্পতিবার আমি কেঁদেছি। মৃত্যুর খবরে আমার কান্না থামাতে পারছিলাম না। বাচ্চাগুলোর একটার পর একটা মৃত্যুর খবর আসছিল, আমার কান্না কিছুতেই আটকে রাখতে পারিনি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। যা এখনও বহাল আছে।
গত রোববার সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ের পরের দিন এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন বিষয়ে অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সব কোটা বাতিল করা হয়। তবে ১৪তম থেকে ২০তম গ্রেডে (মূলত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) কোটা ছিল। যদিও প্রতিষ্ঠান ভেদে এসব পদের কোটায় কিছু ভিন্নতা আছে।
এনএইচ