সম্প্রতি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘আজব কারখানা’ সিনেমা। এই ছবির প্রচারে ঢাকায় এসেই চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রশংসা করেছিলেন তিনি। 

যেখানে পরমব্রত বলেছিলেন, পরীমণিকে আমার মনে হয় ‘পাওয়ার হাউস অব ট্যালেন্ট’। তাকে যদি আরও একটু ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে তিনি খুব ভালো করবেন, আমার মনে হয়। 

এই অভিনেতা আরও বলেন,পরীর যেটুকু কাজ দেখেছি, আমার কাছে দুর্দান্ত মনে হয়েছে। তাকে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা হলে তিনি আরও ভালো করবেন।

পরমব্রতের এই প্রশংসা কান পর্যন্ত পৌঁছেছে পরীমণির। নায়িকার নিজের কাছেই নাকি বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। কারণ খুব ছোটবেলা থেকেই এই অভিনেতার অভিনয়ের ভক্ত তিনি। 

নায়িকার ভাষায়, ‘প্রথমে তো মুগ্ধ হয়ে কতক্ষণ শুনছি। দুতিনবার টেনে টেনে শুনেছি। পরে ভেবেছি, মানুষকে নানাভাবে আমরা অপমান–অপদস্থ করতে পারি। প্রশংসা নাই–ই করতে পারি। কিন্তু এসবের কারণে দিন শেষে মানুষটার যে চেষ্টা, এসবও একসময় ডাউন হয়ে যায়। পরমব্রত কিন্তু ভালো অভিনয় করেন। ভালো এই, ভালো সেই, দেখতে সুন্দর—এসব বলতে পারত। ’

পরীমণি বলেন, ‘তিনি কী বলেছেন, পাওয়ার হাউস অব ট্যালেন্ট...। এই লাইনের গভীরতা হজম করতে আমার এত বেশি সময় লাগছে যে বলে বোঝাতে পারব না। তাই আমি বারবার টেনে টেনে দেখছি। মানুষকে কীভাবে প্রশংসা করতে হয়, সেটা আসলে আমরা অনেক ক্ষেত্রে শিখিইনি।’

পরমব্রতের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন পরীমণি। এই নায়িকা বললেন, ‘আমি শুধু অপেক্ষা করছি, কবে তার সঙ্গে কাজ করব। বাইশে শ্রাবণ দেখে প্রথম ভালো লেগেছিল পরমব্রতকে। এরপর তার যা যা ছবি দেখার সুযোগ হয়েছে, কোনোটাই বাদ দিইনি। সবই দেখেছি। সংগীত বাংলা চ্যানেলে গান দেখাত না, যে কটা দিন তুমি ছিলে পাশে...একই ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে। এসব দেখেই তো ছোটবেলা থেকে মনে কী কী যে হতো...(হাসি)। কত ফ্যান্টাসি। ভাবতাম, প্রেম বুঝি এমনই হতে হবে, একই ব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করতে হবে। সেই আমি এখন পরমব্রতের সঙ্গে যদি অভিনয় করি, কেমন লাগবে ভাবলেই তো আমার মাথা কেমন-কেমন জানি লাগে।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘আজব কারখানা’। এ সিনেমায় পরমব্রতকে দেখা যাবে একজন রকস্টারের চরিত্রে। শবনম ফেরদৌসী পরিচালিত এ সিনেমায় প্রথমবার বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে র‌্যাম্প মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমির।

এনএইচ