সিনেমা জগতে দুজনের প্রবেশ প্রায় কাছাকাছি সময়ে। কিন্তু বড় পর্দায় ঋতুপর্ণার ক্যারিয়ার যতোটা জ্বলমল, শ্রীলেখার মিত্রের ক্যারিয়ার ততোটা নয়। একাধিকবার সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা দাবি করেছেন, ওই সময়ে টলিউডের শীর্ষ নায়ক প্রসেনজিতের সঙ্গে দহরম মহরম সম্পর্ক ছিল ঋতুপর্ণার। যে কারণে পরিচালকরা তাকেই বেছে নিতে বাধ্য হতেন। 

এদিকে সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জেরার মুখে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। এ ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। ইডির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম।

বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখন ঋতুপর্ণাকে নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন শ্রীলেখা। ঋতুপর্ণার একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘চুরি না করলে টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছেন কেন? ৭০ লাখ টাকা তো মুখের কথা না। সাধারণ মানুষের থেকে চুরি করা টাকা। কেউ নিজের আয় করা টাকা এমনি এমনি দেবে না।’

এ ভিডিওতে হাত নেড়ে কথা বলতে দেখা যায় ঋতুপর্ণাকে। বিষয়টি উল্লেখ করে শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, ‘ক্যামেরার সামনে হাত নেড়ে কি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন? আপনি অস্কার পাচ্ছেন না, আপনাকে চোর বলা হচ্ছে। লজ্জা করে না?’   

ঋতুপর্ণার বিষয়টি নিয়ে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি নীরব থাকবে। এ তথ্য উল্লেখ করে শ্রীলেখা লেখেন, ‘তারপরেও মিডিয়া এনাদের নাম্বার ওয়ান শিরোপা দিবে? আমার ইউটিউব ভিডিও নিয়ে মিডিয়ার এক অংশ এবং ইন্ডাস্ট্রি এনাদের হয়ে কথা বলবেন। এখন দুর্নীতির কোনো সীমা নেই। ছি! ধিক্কার জানাই। খেয়াল করে দেখবেন, আমার এই পোস্ট নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির লোকজন নির্বাক থাকবে।’

গত জুন মাসে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে যান ঋতুপর্ণা। তাকে ৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। জেরার পর ঋতুপর্ণা জানান, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তার কাছে যেসব নথি চাওয়া হয়েছিল, সেগুলো তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। এরপরই নাকি ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়ে ইডি বরাবর আবেদন করেছেন ঋতুপর্ণা। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সরাসরি কিছু বলেননি ঋতুপর্ণা।

এনএইচ