ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই আনন্দ। সেই আনন্দ আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয় সালামি। যেখানে বড়রা ছোটদের খুশি করতে সালামি উপহার দিয়ে থাকেন। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি। 

অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও বেশ মোটা অঙ্কের ঈদ সালামি পেয়ে থাকেন পরিচিতজনদের কাছ থেকে। সম্প্রতি অভিনেতা জায়েদ খান একটি ভিডিও প্রকাশ করেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। 

যেখানে দেখা যায়, অভিনেতা ডিপজলের কাছ থেকে টাকার বান্ডিল সালামি পেয়েছেন তিনি। শুধু জায়েদই নন, নায়িকারাও টাকার বান্ডিল সালামি পান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানালেন তমা মির্জা। 

ঈদের দিন কীভাবে কাটে জানিয়ে তমা বলেন, ‘ঈদের দিন তেমন কিছু করা হয় না। সন্ধ্যা বা রাতের দিকে বন্ধুদের বাসায় দাওয়াত থাকে, সেখানে যাওয়া হয়। এছাড়া আমি যেহেতু একজন পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ, তাই দুপুরের দিকে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা।’

জীবনে সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা ঈদ সালামি পেয়েছেন বলে জানান এই তারকা। তমা বলেন, ‘জীবনে সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। এর বেশি কখনো পাইনি।’

ঈদের দিন ঝগড়া না হলে আমার মনে হয় ঈদই হলো না। সকালবেলা চেঁচামেচি শুনব— এখনো গোসল হয়নি, রেডি হয়নি, এখনো সবকিছু হয়নি, এসব কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে- যোগ করেন তমা মির্জা। 

শৈশবের ঈদের স্মৃতিকথা মনে করে নায়িকা বলেন, ছোটবেলার ঈদগুলোই মজার ছিল। ওই সময় অনেক কিছু বুঝতাম না, দায়িত্বও ছিল না। আর এখন উৎসব মানেই খরচ— এইটা লাগবে, ওইটা লাগবে।’

উল্লেখ্য, ‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তমা মির্জার। সেই সঙ্গে বেশ কিছু সিনেমায় পার্শ্বনায়িকা হিসেবেও অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। এ ছাড়া ‘ও আমার দেশের মাটি’ সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০১৫ সালে এসে ‘নদীজন’ সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন তার বড় পাওয়া।

সবশেষ তমাকে দেখা গেছে আফরান নিশোর বিপরীতে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায়। এই ছবিতে তমার অভিনয় দর্শকমহলেও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। 

এনএইচ