দুই বছর পর আবারও এফডিসির ভেতরে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। তবে সেক্ষেত্রে নায়িকার রয়েছে এক শর্ত। শুধুমাত্র এফডিসিতে আনন্দময় পরিবেশের নিশ্চয়তা পেলেই সেখানে কোরবানি দেবেন তিনি। 

এ বিষয়ে পরী বলেন, ‘এবারও কোরবানি দিতে চাই। যদি এফডিসির কেউ ভেতরে আনন্দময় পরিবেশে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কোরবানি দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারে তবে সেখানে কোরবানি দেব।’

পরীমণির এমন বক্তব্যে দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এই অভিনেতা জানান, পরীমণিকে এফডিসিতে কোরবানির জন্য সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে। সেখানে আনন্দময় পরিবেশ থাকবে। 

ডিপজল বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করব। কেন এফডিসিতে কোরবানি দিতে বাধা দেওয়া হবে? সেসময় বাধার দেওয়া বিষয়ে আমি জানতাম না। আমরা একসঙ্গে কোরবানি দেব, আনন্দ-ভাগাভাগি করব। কোরবানি শেষে ময়লা ধুয়ে পরিস্কার করে দেওয়া হবে। পরীমণিকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমরা তার পাশে আছি। তাকে সুন্দর পরিবেশের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। এবার এফডিসিতে উৎসবমুখর পরিবেশে কোরবানি দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো এফডিসিতে কোরবানি দেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন পরবর্তী ৫ বছর। সর্বশেষ ২০২১ সালে ৬টি গরু কোরবানি দেন এই নায়িকা। কিন্তু সে বছর এফডিসির ভেতর কোরবানি দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাইরে কোরবানি দেন পরী।

এই নায়িকা জানিয়েছিলেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন এফডিসিতে কোরবানি দেবেন। চলচ্চিত্রের অসচ্ছল সহশিল্পীদের মাঝে মাংস বিতরণ করবেন। কিন্তু ২০২২ সালে এফডিসিতে আর কোরবানি দিতে দেখা যায়নি পরীমণিকে। একই কাজ করেন ২০২৩ সালেও। 

গত দুই বছর কেনো কোরবানি দেননি, এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী জানান, আমার দেওয়া বিগত কোরবানিগুলো সবাই মিলে আনন্দ-উৎসবের সঙ্গে দিয়েছি। তবে সবশেষ দেওয়া কোরবানি নিয়ে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই আমি এফডিসিতে কোরবানি দেওয়া থেকে সরে এসেছিলাম।

বর্তমানে ‘রঙিলা কিতাব’ নামে একটি ওয়েব কন্টেন্টের কাজ করছেন পরী। কিঙ্কর আহ্সানের ‘রঙিলা কিতাব’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিতব্য সাত পর্বের এ ওয়েব সিরিজের পরিচালনা করছেন অনম বিশ্বাস।

এনএইচ