নিজেকে চঞ্চলের সবচেয়ে বড় ‘অনুরাগী’ দাবি স্বস্তিকার
দেশের প্রখ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন এই তারকা। শুধু ভক্তরাই নয়, চঞ্চলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার সহশিল্পীরাও।
যাদেরই একজন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মূখার্জি। চঞ্চলকে ‘ইনস্টিটিউশন’ বলে সম্বোধন করে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। যেখানে নিজেকে চঞ্চলের সবচেয়ে বড় ‘অনুরাগী’ বলেও মন্তব্য করেছেন নায়িকা।
বিজ্ঞাপন
স্ট্যাটাসের শুরুতেই চঞ্চলের কোনো কাজ এলেই সেটা সবার আগে দেখার চেষ্টা করেন জানিয়ে স্বস্তিকা লেখেন, ‘আমরা আজকাল বলি কনটেন্ট ইজ কিং। ঠিক। কিন্তু সেই রাজার ওপর মহারাজ আছেন, রাজাধিরাজ আছেন- সেই মহারাজের আজ জন্মদিন। নিজের কর্ম জীবনে যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন আমি তার একটা কাজ ও মিস করি না। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার মধ্যে যে উত্তেজনা সেটা কি আর ছাড়া যায়! তাই স্ট্রিমিং শুরু হলেই আমি টিভির সামনে। রাত জাগতে হলেও দেখা না শেষ করে উঠি না। চরকি আর হইচইকে অশেষ ধন্যবাদ, ওরা না থাকলে এমন প্রকাণ্ড এক শিল্পীর কাজ না দেখে মরতে হত। কি বিশাল একটা ক্ষতি হত সেটা। হ্যাপি বার্থডে চঞ্চল চৌধুরী।’
চঞ্চলকে অভিনয়ের ইনস্টিটিউশন মনে করেন এই তারকা। সেটা উল্লেখ করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘তোমার বাম দিকে তাকালে বোঝা যায়না তোমার ডান দিকটা কেমন, এমন ভাবে চরিত্র হয়ে ওঠো যে চিনতে পারা ভার। আরো ভাল কাজের অপেক্ষায় ছিলাম, আছি, থাকব। আমি অভিনেতা হিসেবে খুব লোভী, সব ভাল কাজ নিজে করতে চাই। দর্শক হিসেবেও লোভী, সব ভাল কাজ দেখতে চাই, আর সেই কাজ তোমার হলে তো কথাই নেই। তুমি একটা গোটা ইনস্টিটিউশন। প্রত্যহ শিখি অভিনয়ের নতুন সব দিক দিগন্ত। অফুরান ভালবাসা নিও– আমার প্রিয় শিল্পী। জেনো আমিই তোমার সবচেয়ে বড় অনুরাগী।’
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, চঞ্চল চৌধুরী ১৯৭৪ সালের ১ জুন বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রাধা গোবিন্দ চৌধুরী এবং মায়ের নাম নমিতা চৌধুরী।
তিনি গ্ৰামের স্কুল কামারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন।
উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই তার গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল। পরে তার মঞ্চ নাটকের প্রতি একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘রূপকথার গল্প’। এছাড়া তিনি ‘মনপুরা’, ‘টেলিভিশন’, ‘আয়নাবাজি’ ও ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয়নৈপুণ্য প্রদর্শন করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন।
এনএইচ