ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর কানে সৈকতের তীরে বসেছিল সিনেমার বর্ণিল আয়োজন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। যেখানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। 

১২ দিনব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে এই চলচ্চিত্র উৎসবে শুরু থেকেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাক ও সাজে ভক্তদের চমকে দিয়েছেন ভাবনা। 

রেড কার্পেটে কখনো এই অভিনেত্রী হাজির হয়েছেন আন্তর্জাতিক তারকাদের মতো লম্বা টেলওয়ালা গাউনে। আবার কখনো বেনারসি কাতান কাপড়ের ওপর কাস্টমাইজ করা মিডি ড্রেসে। 

ভাবনার পোশাকে যেমন নতুনত্ব ছিল, তেমনই সমাজের প্রতি বিভিন্ন বার্তাও ছিল। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল অভিনেত্রীর পোশাকে খোলামেলা ভাব। অধিকাংশ পোশাকেই সাহসী রূপে ধরা দিয়েছেন ভাবনা। 

নিজের এই সাজের জন্য যেমন প্রশংসা পেয়েছেন তিনি, আবার নেটিজেনদের কটাক্ষও শুনতে হয়েছে তারকাকে। সেই সমালোচকদের দলেই এবার যোগ দিলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। 

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের ‘নামধারী নায়িকা’ সম্বোধনে কয়েজনের পোশাক নিয়ে বেশ সমালোচনা করেছেন। 

যেখানে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কান উৎসবে নিজেকে অত্যাধুনিকভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে এ দেশের কয়েকজন নামধারী নায়িকা এমন পোশাকে নিজেকে জনসম্মুখে আবির্ভূত করেছেন, যেটা কখনোই একজন পরিপূর্ণ বাঙালি শিল্পী করেন না। যার মধ্য বিন্দু পরিমাণ শিল্পসত্তা বিদ্যমান, তিনি এমন খোলামেলা পোশাকে নিজেকে এবং নিজের দেশীয় সংস্কৃতিকে অপমান করতে পারেন না।’

তাচ্ছিল্যের সুরে অঞ্জনা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘খোলামেলা পোশাক কখনোই বাঙালি সংস্কৃতির বাহক নয়। বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টির প্রতি যার কোনও মমত্ববোধ না থাকে, সে আবার কিসের শিল্পী?’

অঞ্জনার সেই স্ট্যাটাসে কোথাও ভাবনার নাম উল্লেখ না থাকলেও ভক্তদের বুঝতে কষ্ট হয়নি অভিনেত্রীর নিশানায় কে ছিলেন। কারণ এ বছর বাংলাদেশ থেকে পরিচিত অভিনেত্রীদের মধ্যে কেবল ভাবনাই কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছেন। প্রতিনিয়ত নিজের সাজ ও পোশাকের জন্য সংবাদের শিরোনামও হয়েছেন। 

যদিও অঞ্জনার এই স্ট্যাটাসের জবাবে ভাবনাকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি। 

এনএইচ