বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। সাধারণ সম্পাদক পদে হারের পর নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে আদালতে রিট দায়ের করেছেন তিনি। 

নির্বাচনের একমাস পরে নিপুণের এমন কর্মকাণ্ড মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। তাদেরই একজন বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।

সম্প্রতি নিপুণের রিট দায়ের প্রসঙ্গে এই পরিচালক বলেছেন, ‘শিল্পী সমিতিতে ডিপজল সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলে সুন্দর ভাবে দুটি বছর চলবে। ডিপজল যেন এখানে না থাকতে পারে সেই ষড়যন্ত্র হয়েছে। এই জিনিসটা আমার দৃষ্টিতে শুভ না। ওর সম্মান ও অর্থ সব কিছুই আছে। সে এখানে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উন্নয়নের কথাই ভাববে। সে পাশ করেছে, নিপুণ গিয়ে কেস করেছে। আমার মনে হয় সে এটা না করলেও পারত।’ 

এই নির্বাচনে ডিপজল কোনো দুই নাম্বারি করে নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যতদূর জানি ডিপজল দুই নাম্বারি করে নির্বাচন করেনি। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে আমার মনে হয় না কিছু পাবে। সবকিছু মেনে নিয়ে রিট করার মানে হয় না। নিপুণ মালা পড়িয়ে বড় মনের পরিচয় দিয়েছিল। এটা তো দেখে ভালো লেগেছে। এখন ওর বিপক্ষে সমালোচনাই বেশি হবে।’

এছাড়াও ডিপজলকে নিপুণের ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন ঝন্টু। এই নির্মাতা বলেন, ‘লেখাপড়া করলেই যে রাজনীতি করে ভুল করবে সেটা না। কথাটা বলাটাই ঠিক না। ভোটাররা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। ও ডিপজলকে ছোট করবে কেন? সে ছোট না। লেখাপাড়া জানার থেকেও ভালো ভালো কথা বলে। ডিপজল গঠনমূলক কথা বলে।’

ঝন্টু আরও বলেন, ‘ডিপজল সারা দেশে একটা পরিচিত নাম। চলচ্চিত্রের একজন পরিচিত নাম। ডিপজলের বিরুদ্ধে যে কথাটা বলেছে সেটা তার বলা অপরাধ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি শব্দটা উচ্চারণ করলাম না। ডিপজলের সম্মানহানি করার তার (নিপুণের) কোনো অধিকার নেই। আমি নিপুণকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। তাকে আমি শিল্পী হিসেবে পছন্দ করি। আর ডিপজলকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখি। সে মানুষের জন্য এগিয়ে আসে, উপকার করে। তার তুলনা হয় না।’

এর আগে ২০২২-২৪ সালের নির্বাচনেও সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে মামলা চলে উচ্চ আদালতে। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে দায়িত্ব পালন করেন নিপুণ। তখন প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। 

ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জায়েদ খান হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিপুণ সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।

এনএইচ