ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের একমাত্র সন্তান শাহীন মুহম্মদ পূর্ণ। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর পরীমণির কাছেই বেড়ে উঠছে পূর্ণ। মা হিসেবে ছেলের প্রতি সকল দায়িত্বই পালন করছেন পরী। 

অন্যদিকে ছেলের পাশে দেখা যায় না বাবা শরিফুল রাজকে। পরীর অভিযোগ, সন্তানের কোনো খোঁজ নেন না এই নায়ক। এমনকি ঈদের দিনেও ছেলেকে দেখতে যাননি রাজ। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন এই অভিনেতা নিজেই। 

ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রাজের তিনটি সিনেমা। ছবি তিনটি হলো ‘কাজলরেখ’, ‘ওমর’ ও ‘দেয়ালের দেশ’। সিনেমার মুক্তিকে কেন্দ্র করেই গণমাধ্যমে কথা বলেছেন রাজ। সেখানে জানিয়েছেন, ঈদের দিন ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। 

এ বিষয়ে রাজ বলেন, ‘ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেখা করা সম্ভব হয়নি। অস্বীকার করার উপায় নেই, বিচ্ছেদের পর আমার আর পরীর মধ্যে সম্পর্কটা স্বাভাবিক জায়গায় নেই। বিষয়টি এমন একটি জায়গা এখন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এ ব্যাপারে আমার আইনজীবী সেভাবে আমাকে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই আমাকে চলতে হবে। তবে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আছে আমার সন্তান। সে হাসিখুশিতে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে। এটাই আমার সন্তানের জন্য দরকার ছিল। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।’

এবারের ঈদ নিজের গ্রাম ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় কাটিয়েছেন রাজ। সেখানেই মেতেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়। অভিনেতা বলেন, ‘চাঁদরাতেই এখানে এসেছি। অনেক দিন পর এলাম। বন্ধুদের অনেকে ঢাকায় থাকে, তারাও ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছে। এখন সবাই একসঙ্গে আছি আমরা। স্কুলবন্ধুদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে।’

অন্যদিকে ঈদের দিন ছেলেকে নিয়েই কাটিয়েছেন পরীমণি। বাবা হিসেবে রাজ কোনো খোঁজ নিয়েছেন কিনা ছেলের, এমন প্রশ্নে এই নায়িকা বলেন— ‘একজন বাউন্ডুলে মানুষের সন্তানের খবর নেওয়ার দরকার আছে নাকি? আর আসলেও কি আমি দেখতে দেব? সন্তানের ঈদ উপহারের বিষয়টি সে বুঝে কি না, সেটাও একটা ব্যাপার।’

এনএইচ