ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের নামে অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তিভঙ্গ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই। সেই সঙ্গে অভিনেতাকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল। 

তবে এ বিষয়ে জল ঘোলা হওয়ার আগেই সমঝোতার পথে হেঁটেছেন দুজন। শনিবার (১৬ মার্চ) অভিনয় শিল্পী সংঘের অফিসে বৈঠকে বসেন অভিনেতা ও প্রযোজক। বৈঠক শেষে শিল্পী সংঘ জানিয়েছে, অপূর্বের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অর্থ আত্মসাৎ নয়, বরং চুক্তি বিষয়ক জটিলতা। 

শনিবার মধ্যেরাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসেও বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহরিয়ার শাকিল। এসময় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাস্যজ্জল অবস্থায় ছবি তুলতে দেখা যায় দুজনকে। 

জানা যায়, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল, টেলিপ্যাব সভাপতি মনোয়ার পাঠান, সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির, শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান। 

বৈঠক শেষে এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে অভিনয়শিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস এর মধ্যকার সংঘটিত কাজের চুক্তি বিষয়ক যে জটিলতা তৈরি হয়েছিলো, তাতে উভয় পক্ষই প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) ও অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ-এর কাছে অভিযোগ প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে আজ (১৬ মার্চ) টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের কার্যালয়ে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
উক্ত সভায় সকলের কাছে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চুক্তি মোতাবেক উভয় পক্ষই পরিপূর্ণভাবে কার্য সম্পাদন করেননি। চুক্তি অনুযায়ী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ৯টি নাটকে অভিনয় করেছেন এবং বাকি নাটকগুলো উভয় পক্ষই আর না করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে অপূর্বকে প্রদান করা বাকি যে নাটক বাবদ অগ্রিম অর্থ তা উভয় পক্ষ সমন্বয় করে নেবেন। 

সেখানে আরও বলা হয়, উদ্ভুত ঘটনা কোনোভাবেই অর্থ আত্মসাৎ নয়, এটা চুক্তি বিষয়ক জটিলতা। পুরো বিষয়টি পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমন্বয়হীনতার কারণে ঘটেছে।

এনএইচ