বিদায় নিচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি। আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল শনিবার (২ মার্চ)। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে বর্তমান কমিটির সদস্যরা।

এই আয়োজনে আক্ষেপ ঝড়ল শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের কণ্ঠে। ২০২২ সালে নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে বিগত দুই বছরে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি এই কমিটিকে।

ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। যে কারণে মনে কষ্ট রয়ে গেছে এই অভিনেতার। 

ক্ষোভ প্রকাশ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই সমিতির একটা পদ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা কত কিছু করেছেন। কিন্তু শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থ তো আলাদা জিনিস। এ বিষয়টাই কেউ বুঝতে চাইল না। আপনারা শিল্পীদের স্বার্থ কী করে ভুলে যান? যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি, সেখানে কাঞ্চনের পাশে আপনারা দাঁড়ান না। এই দুঃখটা নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছি। আজকে আমাকে যদি অসম্মান করেন, তাহলে সেই অসম্মান কিন্তু আমার একার নয়। সেই অসম্মান পুরো শিল্পী সমাজের, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির।’

আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন এই তারকা। বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। তবে নির্বাচন না করলেও সব সময় সমিতি ও শিল্পীদের পাশে থাকব। এই শিল্পী সমিতি আমাদের সমিতি। আজকে আমি যা কিছু তার সব কিছু একজন শিল্পী হিসেবেই অর্জন করেছি। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকেই অর্জন করেছি। সুখে-দুঃখে যখন প্রয়োজন হবে তখন আমাকে পাবেন।’

যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘কারো কথা ও অর্থ দ্বারা প্ররোচিত হবেন না। টাকার লোভে পড়ে দুই বছরের জন্য সর্বনাশ করবেন না। আপনার বিবেককে প্রশ্ন করবেন, যাকে ভোট দেবেন তিনি কি আপনার ও ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করবেন? শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থ যারা পরিপূর্ণভাবে রক্ষা করবেন, তাদেরকে বিবেচনা করবেন।’

এনএইচ