মাহিকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস স্বামীর
বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেও কারণটা স্পষ্ট করেননি ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই নীরব ভূমিকায় রয়েছেন তার স্বামী রাকিব সরকার।
যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অন্যেকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মাহিকে ইঙ্গিত করে এক বিস্ফোরক স্ট্যাটাসই দিতে দেখা গেল তার স্বামীকে। যেখানে সন্তান ফারিশের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন রাকিব।
বিজ্ঞাপন
রাকিব কী বলেছেন, সেটা জানার আগে দেখতে হবে একদিন আগে মাহির দুইটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) একটি স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী লেখেন, ‘একটা আস্থার জায়গা হলেই চলবে, একটা মানুষের মতো মানুষ হলেই চলবে, একটুখানি যত্ন নিও ছেলে।’ অপর একটি স্ট্যাটাসে মাহি লেখেন, ‘ভয়ংকর রাত’।
মাহির এই দুই স্ট্যাটাসের পরেই মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলে ফারিশ সরকারের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাকিব সরকার। যেখানে তিনি শুরুতেই লিখেছেন, আস্থা…! শব্দটির সাথে যখন ডিক্লেয়ারেশন ইস্যু যুক্ত হয় তখন তার সাথে সাথে বিশ্বাস, নির্ভরতা ছাড়াও গভীরে অনেকগুলো সমার্থকের উপস্থিতি উপলব্ধি হওয়া খুবই প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন
এরপর ‘ভয়ংকর রাত’ ও ‘আস্থার আস্তানা’ উল্লেখ করে রাকিব লেখেন, ভয়ংকর রাতে আস্থার আস্তানায় সাজানো শীসা। তার সদস্যদের সবাই দেখল। ওই আস্তানার প্রধান ফটোগ্রাফ্রির অজুহাতে আড়ালেই রয়ে গেল। সপ্তাহ-দশদিনে তো আর এমন আস্থা অর্জন করা সম্ভব না।
সবশেষ ছেলের উদ্দেশে রাকিব সরকারের বার্তা, সবাই একইরকম ভাগ্য নিয়ে দুনিয়ায় আসে না বাবা। ইন শা আল্লাহ তোমার জন্য বাবাই যথেষ্ট ফারিশ।
পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও মাহির নাম না নিলেও সেখানে অভিনেত্রীর গতকালের স্ট্যাটাসের দুইটি বিষয় তুলে ধরে পরোক্ষভাবে তাকে নিয়েই কিছু বোঝাতে চেয়েছেন রাকিব। সেইসঙ্গে সৃষ্টি করলেন বিচ্ছেদ নিয়ে রহস্যের, প্রশ্নের।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এক ভিডিওবার্তায় নিজের সংসার ভাঙার খবর জানান মাহিয়া মাহি। সেসময় বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট না করলেও অভিনেত্রী জানান, বর্তমানে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে একছাদের নিচে থাকছেন না তিনি। খুব শিগগিরই হাঁটবেন আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি রাকিব। শুরু থেকেই ছিলেন নিশ্চুপ। তবে আজ মঙ্গলবার এই ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মাহিকে নিয়েই যেন কিছু বলতে চাইলেন তিনি।
এনএইচ