কবরী দাদি হয়েছেন মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর
করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত আর বাঁচতে পারেননি ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী। গত ১৭ এপ্রিল না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।
কবরীর মৃত্যুর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর তার চতুর্থ ছেলে জয়নাল চিশতীর ঘরে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। আর তার মুখ দেখে যেতে পারেননি দাদি দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কবরী। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে আইলা। এটি জয়নাল চিশতীর দ্বিতীয় মেয়ে। আশা নামে তাদের আরেকটি মেয়ে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জয়নাল চিশতীর নিকটাত্মীয় সঙ্গীতশিল্পী নাহিদ কবির কাকলী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কানাডায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন জয়নাল। কবরীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর জয়লানের স্ত্রী রোয়েনা আহসান কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কবরীর পুত্রবধূ এবং নবজাতক দুজনই বর্তমানে সুস্থ আছেন।
কবরী প্রথম বিয়ে করেছিলেন চিত্ত চৌধুরীকে। সেই সংসারে জন্ম নেয় দুই ছেলে-অঞ্জন চৌধুরী ও রিজওয়ান চৌধুরী। অঞ্জন চৌধুরী আমেরিকায় পড়াশোনা করে দীর্ঘ দিন ধরে সেখানেই স্থায়ী। রিজওয়ান চৌধুরীও যুক্তরাষ্ট্র থেকে লেখাপড়া শেষ করে বর্তমানে দুবাইয়ে চাকরি করছেন।
চিত্ত চৌধুরীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে কবরী বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। সেই সংসারে জন্ম নেয় তিন ছেলে-শাকের ওসমান চিশতী, জয়নাল চিশতী ও শান ওসমান চিশতী।
এদের মধ্যে শাকের ওসমান চিশতী সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চতুর্থ ছেলে জয়নাল চিশতী কানাডার প্রবাসী। সবচেয়ে ছোট শান ওসমান চিশতী মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী।
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সিনেমায় অভিষেক কবরীর। এরপর ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘দেবদাস’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘দীপ নেভে নাই’-এর মতো অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।