শাকিব নাম ছাড়া অন্য কিছু শিখিনি : অপু বিশ্বাস
ভালোবেসে ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার তারকা জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। বিয়ের প্রায় ৮ বছরের মাথায় ২০১৬ সালে কলকাতায় প্রথম সন্তানের জন্ম দেন অপু।
এরপরের বছরেই ছেলেকে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হন এই নায়িকা। সবাইকে জানান, তার ও শাকিবের বিয়ের খবর।
বিজ্ঞাপন
সন্তানকে নিয়ে অপু বিশ্বাসের প্রকাশ্যে আসায় দুই তারকার সম্পর্ক গিয়ে ঠেকে তলানিতে। ২০১৭ সালে নভেম্বরে তালাকের আবেদন করেন শাকিব খান। পরবর্তী বছরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় এই দম্পতির।
এসব গল্পই পুরোনো, ভক্তদেরও নতুন করে জানার মতো কিছু নেই। তবুও সম্প্রতি সময়ে ফের আলোচনায় শাকিব-অপু। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও প্রাক্তন এই তারকা দম্পতির মাঝে কোনো দূরত্ব আসেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অন্যের কাছাকাছি এসেছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন, দু’জন দুজনের সম্পর্কে বিভিন্ন ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন
বিশেষ করে অপু বিশ্বাসকে বিভিন্ন সময়েই শাকিবকে নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায়। এমনকি নিজের প্রাক্তন স্বামীর প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই দ্বিতীয় বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন এই নায়িকা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘নিন্দুকেরা অনেক সময় বলে, অপু বিশ্বাস সবসময় শাকিব শাকিব করে’। নায়িকার প্রশ্ন, ‘কেন করব না? কারণ আমি তো শাকিব নাম ছাড়া অন্য কিছু শিখিনি।’
এরপর অপু বলেন, ‘আমি তো অন্য কারো নাম জড়াতে পারব না। নিন্দুকরা দুঃখ হোক, কষ্ট হোক দয়াকরে এটা মেনে নিবেন— শাকিব নামটাই আমার মুখে সবসময় থেকে যাবে, কারণ সে আমার সন্তানের বাবা।’
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘ব্যক্তি মানুষকে নিয়ে কথা বলতে হলে বা আমার মেন্টর নিয়ে বলতে চাইলেও সেখানে শাকিবের নামই আসবে। শাকিব খান আমার কাছে আত্মবিশ্বাস, নির্ভরতার এক নাম।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন অপু বলেছিলেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ের দরকারটা কী? বাংলাদেশে আমার এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে সকলে ভাবেন অপু যা-ই করবেন তার মধ্যে একটা বার্তা থাকবে। সেই দিক থেকে দর্শকের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, সামাজিক পরিচিতি পাবে। কিন্তু সন্তান একজন সৎবাবা পাবে! সন্তানের প্রতি ওই বাবা সমান ভালোবাসা দেবেন না। তাই আমি মনে করি, দ্বিতীয় বিয়ে করবই না! তা হলে সন্তান তার নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যেকোনো একজনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসেবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এনএইচ