নানা কর্মকাণ্ডে আলোচিত হন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কখনো নারীদের নিয়ে বক্তব্য কখনো আবার ডিগবাজি কাণ্ড, যাই করেন না কেনো জায়েদ খান মানেই যেন ‘ভাইরাল’। 

তবে সম্প্রতি সময়ে এই অভিনেতা বেশি আলোচিত হয়েছেন ‘ডিগবাজি’ কাণ্ডে। একাধিক অনুষ্ঠানে ও প্রচারণায় ডিগবাজি দিতে দেখা গেছে তাকে। জায়েদও জানিয়েছেন, এটিই হতে যাচ্ছে তার সিগনেচার স্টাইল।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে একটি মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জায়েদ খান। যেখানে তিনি জানান, কোথায় ও কীভাবে এই ডিগবাজির উৎপত্তি। 

জায়েদ বলেন, ‘এটি আমেরিকায় শুরু করেছিলাম। একটি গানের নাচের স্টেপ ভুলে গিয়েছিলাম। যখন মিউজিকের তাল ভুলে যাই, তখন তা মেলানোর জন্য ডিগবাজি দিয়েছিলাম। চুরি করার জন্য দিয়েছিলাম। যেটা শিখে গিয়েছিলাম সেটা ভুলে যাওয়ার পর ডিগবাজি দিলাম। দেখি সেটা হিট হয়ে গেছে। এটার ধারাবাহিকতায় চলছে এখন। এটা এখন আমার সিগনেচার স্টেপ হয়ে গেছে। যেখানে যাই সবাই এটাই চায়, আমিও দিই।’

এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘ডিগবাজি তো মানুষ পছন্দ করে ফেলছে। শাহরুখ খান যখন হাত উঁচু করে দাঁড়াত তখন কী তিনি জানতেন এটাই হতে যাচ্ছে তার সিগনেচার স্টাইল? কোন স্টেপ কে কখন পছন্দ করে সেটা তো কারো জানা নেই। আমি তো ভাইরাল করার জন্য ডিগবাজি দিইনি।’

কিছুদিন আগে শাকিব খানের সঙ্গে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার পার্থক্য টেনে মন্তব্য করেছিলেন জায়েদ খান। এদিন সাংবাদিকদের সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু শাকিব ভাইকে অসম্মান করিনি। শাকিব ভাই আমার চেয়ে অনেক বড় সুপারস্টার। বর্তমানে তাঁর চেয়ে বড় সুপারস্টার এ দেশে আর কেউ নেই। সব ঠিক আছে। সঞ্চালক বলেছিলেন, জায়েদ খান ও শাকিব খানের মাঝে গুণের পার্থক্য কী? এর উত্তরে আমি বলেছিলাম, আমি অনেক শিক্ষিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছি। অন্যদিকে শাকিব ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি। শাকিব খান আমার চেয়ে খুব ভালো অভিনেতা। যেটা আমার মাঝে নাই। এটা ছাড়া আর কিছুই না।’

এনএইচ