মিতা-মিশার ১০ বছরের প্রেম, ৩০ বছরের সংসার
একই ছাদের নিচে ৩০ বছর পার করলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর ও তার স্ত্রী মিতা। প্রায় ১০ বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ৩০ বছরের সংসার জীবন অতিবাহিত করলেন এই দম্পতি। আজ (৫ ডিসেম্বর) তাদের বিবাহবার্ষিকী।
বিশেষ এই দিনটির শুরুতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ত্রী মিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মিশা সওদাগর। স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘৩০ বছর পার করার পর আমার উপলব্ধি হচ্ছে, মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে তার মা জননী। আর একজন পুরুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হচ্ছে তার স্ত্রী। জেতার মান-সম্মান, অর্থ, প্রতিপত্তি, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, সন্তান-সন্ততির আমানত হিসেবে রক্ষা করে। তোমার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা অনেক ভালোবাসা। আমাকে আজকের দিনে কবুল করার জন্য তোমার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। শুভ হোক বিবাহবার্ষিকী।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
মিশা-মিতার প্রেম কাহিনি চলচ্চিত্রের গল্পকেও হার মানায়। কারণ নিজের প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে কম কাটখড় পোড়াতে হয়নি এই অভিনেতাকে। প্রেম ও বিয়ের স্মৃতিচারণ করে মিশা বলেন, ‘প্রেমের যখন শুরু তখন আমি ম্যাট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার্থী। আর স্ত্রী মিতা পড়তেন নবম শ্রেণিতে। আমার আম্মা ও মিতার আম্মা নিকটাত্মীয়। আমাদের বাসা এবং তাদের বাসায় যাতায়াত ছিল। সেই সূত্র ধরেই প্রেম। যদিও দুজনের ১০ বছরের প্রেমের গল্প মোটেও সহজ ছিল না। কারণ এই সম্পর্ক নিয়ে ছিল পারিবারিক আপত্তি।’
চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলেন মিতা। তবে প্রেমের ঘটনায় তার আর সেখানে পড়া হয়নি। মিশা সওদাগর এই ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ‘মিতা চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল। আমি সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই খবরে ওর আব্বা ওর চট্টগ্রামে পড়া বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি করেছিল। এ ছাড়া আরও অনেক ঝামেলা গেছে আমাদের। কিন্তু আমরা দুজন দুজনকে ছাড়িনি। একবার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তাকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তখন আমরা বিয়ে করি।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে মিশা-মিতা দম্পতি দুই পুত্র সন্তানের জনক। বড় ছেলে হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ ও ছোট ছেলে ওয়াইজ করণী। তারা আমেরিকায় থাকেন। যে কারণে সুযোগ পেলেই স্ত্রী-পুত্রকে সময় দিতে সেখানে উড়াল দেন অভিনেতা। আবার সিনেমাতেও ব্যস্ত সময় পার করেন।
এনএইচ