ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী শবনম বুবলীকে নিয়ে আরও একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সম্পর্কে এই নায়িকার সন্তানের বাবা তিনি। কিন্তু শাকিবের দাবি, বর্তমানে তার জীবনে বুবলীর কোনো অস্তিত্ব নেই। 

শুধু তাই নয়, একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুবলীর ‘স্ক্যান্ডাল’ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন শাকিব। যেখানে নায়ক সরাসরি বলেছেন, ব্যক্তিজীবনে অনেকের সঙ্গেই নাম জড়িয়েছিল এই নায়িকার। 

সম্প্রতি গানবাংলার কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস ও শবনম বুবলীর সম্পর্ক নিয়ে তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নীর ফোনালাপ ভাইরাল হয়। পুরো অডিও কলেই বুবলীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ শোনা যায় ফারজানা মুন্নীর কণ্ঠে। যেখানে তিনি দাবি করেন, বুবলী তার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাপসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। 

এই অডিও রেকর্ডটি শুনেছেন শাকিব নিজেও। তার ভাষায়, ‘মুন্নী ভাবির অডিও আমি শুনেছি। তিনি আমাকে যা বলেছেন, এটা আমি আশা করিনি। কারণ মুন্নি ভাবিকে আমি যতটা স্ট্রং পারসোনালিটির মানুষ হিসেবে দেখেছি, তার মতো মানুষকে এত অসহায়ভাবে দেখব সেটা আশা করিনি।’

শাকিবের দাবি, এর আগেও অনেকের সঙ্গে বুবলীর ‘স্ক্যান্ডাল’র বিষয়ে শুনেছেন। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে দোষ নিজের কাঁধেও নিয়ে চুপ করে ছিলেন তিনি। শাকিবের কথায়, ‘তার (বুবলী) তো এর আগেও অনেক স্ক্যান্ডাল শুনেছি। এই স্ক্যান্ডালটা তো তাপসের স্ত্রী নিজে বললেন। সেটার অডিও আমরা সবাই শুনলাম। আমারটা আর না-ই বললাম।’

শাকিব মনে করেন, ফারজানা মুন্নীর মতো বাকিদের স্ত্রীরা বুবলীর স্ক্যান্ডাল নিয়ে মুখ খুলেননি। যে কারণে এগুলো প্রকাশ্যে আসেনি। এই নায়কের ভাষায়, ‘আরও কিছু স্ক্যান্ডালের বিষয়ে হয়তো বাকিদের স্ত্রীরা কথা বলেননি বা বিষয়গুলো ছড়ানোর আগেই কোনো ঘটনা ঘটিয়েছেন, যে কারণে আর ছড়ায়নি।’

শাকিব উল্লেখ করেন, ‘দুইবার এমন ঘটনা আমি আমার ঘাড়ে নিয়েছি। আমার ওপর দিয়ে দোষ গেছে, আমি চুপ করে বসে ছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলতে চাইনি। আজও বলছি না। কাউকে বলছি না যে, তাপসের বউ আমাকে কী বলেছেন!’

জীবনে অনেকবার মানুষ চিনতে ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেন শাকিব। বিশেষ করে বুবলীকে তিনি চিনতে পারেননি। তার কথায়, ‘আমি আসলে বরাবরই মানুষ চিনতে ভুল করেছি। বিশেষ করে দ্বিতীয়বার (বুবলীকে বিয়ে) আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি। মানুষের বাহ্যিক আচরণ দেখে তাকে বোঝা মুশকিল। সিনেমাতে যেমন দেখা যায়, যাকে চিন্তাই করতে পারি না যে তিনি ক্রিমিনাল হতে পারে। পরে দেখা যায়, তিনি সবচাইতে বড় ক্রিমিনাল।’

এনএইচ