বিতর্কিত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে বেশ কিছু ছবিকে কেন্দ্র করে আলোচিত তরুণী ফারজান আরশির দাবি, নোবেলকে বিয়ে করেননি। এখন পর্যন্ত নাদিম আহমেদের স্ত্রী তিনি। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরশি লিখেছেন, ‘আজকে লাইভে এসে ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দেব ইনশাআল্লাহ। নোবেলের সাথে আমার বিয়ে হয়নি বা কোনো সম্পর্কও নেই।’

নোবেলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে ফারজান আরশি লেখেন, ‘নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল আপু এবং সে নিজেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দিয়েছেন। যা আপনার বিভিন্ন নিউজে দেখতে পেয়েছেন। আমি যদি নিজের ইচ্ছায় নোবেলের কাছে চলে আসতাম তাহলে স্বামীর সঙ্গে থাকা সব ছবি-ভিডিও ডিলিট করে দিয়েই যেতাম।’

ফারজান আরশি আরও লেখেন, ‘আমি বাসা থেকে এক কাপড়ে বের হয়েছিলাম, যে নোবেলের সঙ্গে দেখা করে চলে আসব। আমার সাথে এক বান্ধবীও ছিল। অনেক ব্যাপার আছে যেটা আপনারা জানেন না। তাই দয়া করে কোনো উল্টাপাল্টা সংবাদ করবেন না।’

বর্তমানে নিজ বাসায় আছেন জানিয়ে আরশি বলেন, ‘আমি নিজের বাড়ি খুলনাতেই আছি। একটু সুস্থ হয়ে আজকেই লাইভে এসে সব বিষয় পরিষ্কার করব। নোবেলের সাথে আমার বিয়ে হয়নি। আমি এখনও নাদিম আহমেদের স্ত্রী। দয়কারে আমাকে সবাই একটু সময় দিন।’

সবশেষ ফারজানা আরশি লেখেন, ‘যারা আমাকে চেনেন তারা অন্তত বুঝবেন। দুইদিন আগে আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ছবি তুলে পোস্ট করলাম, দুইদিনে এমন কী হলো সেটাই আমাকে বলতে দিবেন। যদি যাওয়ার ইচ্ছাই থাকতো তাহলে সবকিছু ডিলিট করে দিয়ে যেতাম।’

এর আগে বুধবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় আরশির স্বামী নাদিম আহমেদ বলেন, তার স্ত্রীর প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। তবুও চেষ্টা করেছেন স্ত্রীকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার। 

নাদিম একজন ফুড ব্লগার। খুলনাতেই বেড়ে ওঠা তার। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর দুই বছর আগে ফারজান আরশিকে বিয়ে করেছিলেন। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই নাদিম তার স্ত্রীকে গায়ক নোবেলের সঙ্গে আবিষ্কার করেন। বিষয়টি ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন এই যুবক নিজেই। এসময় অনবরত কাঁদতে দেখা যায় তাকে। 

নাদিম ভিডিওর শুরুতে বলেন, ‘এত বছর সে আমার সাথে, আমি কখনো কল্পনাও করি নাই আমার স্ত্রী এমন কিছু করবে। আমি কিছুই জানতাম না। আমার স্ত্রী আমাকে নিয়ে পোস্ট দিচ্ছে, স্টোরি দিচ্ছে, সবকিছুই ভালোই যাচ্ছিল। সুতরাং এমন কিছু ঘটছে সেই সন্দেহ করারও সুযোগ ছিল না। হঠাৎ করেই একদিন দেখলাম গায়ক নোবেল একটা প্রোফাইল পিকচার দিয়েছে। যেখানে তার সঙ্গে আমার স্ত্রী। আমি কোনোভাবেই এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মেনে নিতে পারছিলাম না।’

নাদিম আরও বলেন, ‘এরপর হঠাৎ করেই দেখি নোবেলের আইডিতে আরশিকে বিয়ের দাবি করা একটি পোস্ট। এটা আমার জন্য মেনে নেওয়ার মতো ছিল না। আমি নোবেলের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যাই। এসময় আরশির বাবা-ভাই আমার সাথে উপস্থিত ছিল। সেখানে গিয়ে দেখি তারা দু’জনেই নেশায় আসক্ত হয়ে আছেন। তবুও চেষ্টা করেছি আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে আরশি জানান, সে আমার কাছে ফিরতে চান না।’

কান্নারত অবস্থায় নাদিম বলেন, ‘সবাই জানেন আমি সবসময় আরশিকে উপরে ওঠানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজকে আমি হেরে গেছি। যার যায় শুধু সে-ই বোঝে। আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত আনার জন্য শেষ চেষ্টাও করেছি। হয়তো অন্য কোনো ছেলে থাকলে সেটাও করতো না। কিন্তু আমি করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন এই সবকিছু দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারি।’

এর আগে গত সোমবার আরশির সঙ্গে ফেসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে নোবেল দাবি করেন, তাকে বিয়ে করেছেন তিনি। যদিও কবে বিয়ে করেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। 

এনএইচ