ফিলিস্তিনিদের জন্য মন কাঁদছে জয়ার
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা। গত দেড় মাসের ইসরায়েলি হামলায় ১২ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ বা অ্যাম্বুলেন্স কোনও কিছুই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না।
ফিলিস্তিনিদের এমন অবস্থা দেখে দূর থেকেও মন কাঁদছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের। রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে ফেসবুকে জয়া লিখেছেন, ‘রোজ রোজ ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি নানা গণমাধ্যমে। নির্বিচারে বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও! একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ। এরমধ্যে মারা গেছে চার হাজারেরও বেশি শিশু।’
বিজ্ঞাপন
জয়ার ভাষায়, ‘ভাঙা মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি ঠিকই। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কার অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে বার বার।’
জয়া আহসান তীব্র কণ্ঠে বিশ্ব নেতাদের প্রতি দাবি করেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’
এই প্রত্যাশা রেখেই গোয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন জয়া আহসান। কারণ ২০ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাওয়া এই উৎসবে জয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছে তার পাঁচটি চলচ্চিত্র আর অসংখ্য সিনেমা সমালোচক। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই উৎসবে প্রিমিয়ার হচ্ছে জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’ এবং প্রথম ইরানি ছবি ‘ফেরেশতে’।
এর বাইরে বিভিন্ন বিভাগে লড়াই করবে জয়াভিনীত টলিউডি সিনেমা কৌশিক গাঙ্গুলির ‘অর্ধাঙ্গিনী’, সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ আর সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝরা পালক’।
এনএইচ