ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর’ বানিয়ে দুই বাংলায় হইচই ফেলে দেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ওটিটির গণ্ডিতেই। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টে। এতে একজন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে টেলিভিশন নাটকে শিল্পীসংকটের জন্য অনেকেই দায়ী করেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোকে। বিষয়টির সঙ্গে একমত নন নিপুন। তার মতে, এক্ষেত্রে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অব্যস্থাপনা ও নীতিমালাই দায়ী। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান নির্মাতা।

আশফাক নিপুন বলেন, ‘নাটকে কাজ করতে গিয়ে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয়েছি সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাজেট সমস্যা, সময় স্বল্পতা এবং আরও কিছু বিধি-নিষেধ। এগুলো সব ফুলফিল করতে গেলে কাজটা আসলে সেভাবে হয় না। এই সমস্যাগুলো আবার ওটিটিতে নেই। যেকারণে নির্মাতা-অভিনেতারা  দর্শক এখন ওটিটিতে ঝুঁকছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ওটিটিকে দায়ী না করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর উচিত হবে নিজেদের পরীক্ষা করা, তাদের নীতিমালায় সংশোধন আনা। দর্শক এখন লিমিটেড বাজেট কিংবা বিলো এভারেজ বাজেটে কাজ দেখতে আগ্রহী নয়। এ বিষয়টাও ভাবনায় আনতে হবে।’

‘মহানগর ৩’ কবে আসবে এ নিয়েও কথা বলেন এ নির্মাতা। তার কথায়, “আগেই বলেছিলাম, ‘মহানগর ৩’ বানাব কি বানাব না সেটা নির্ভর করছে দর্শক চাহিদার ওপর। দর্শক যদি চান তাহলে বানাব। তবে হ্যাঁ, দর্শকরা চাচ্ছেন। আমি চাই, দর্শক আরেকটু চাক। দর্শকদের ক্ষুধা আরেকটু বাড়ুক। যেদিন প্রত্যাশার পারদ একদম উপরে থাকবে সেদিন কিছু একটা করতে পারব।”

‘মহানগর’ অভিনেতা মোশাররফ করিমের সঙ্গে নির্মাতা

মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে নিপুন বলেন, ‘বাস্তবে তো কখনো মন্ত্রী হতে পারব না, হতেও চাই না আসলে। কাল্পনিকভাবে একধরনের মন্ত্রী হলাম দেখি কেমন লাগে। টেলিভিশনে দেখি মন্ত্রীরা ফটোসেশন করে আমিও এখানে করলাম। ভালোই লাগছে, খারাপ না।’

চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের ১২টি সিনেমার মধ্যে একটি আশফাক নিপুনের ‘উই নিড টু টক’ অরিজিনাল ফিল্মটি। সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক, অনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে দাম্পত্যজীবনে প্রবেশ করার পর একদিন লায়লা আর মজনু আবিষ্কার করেন, তাদের সব কথা ফুরিয়ে গেছে। কথা–চালাচালির অদ্ভুত দোটানায় শুরু হয় এই যুগের লায়লা আর মজনুর চোরের মন পুলিশ পুলিশ খেলা। একটা সময়ে এসে তাদের মনে হয় ‘উই নিড টু টক’—এমন গল্পে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

কেএইচটি