জাস্টিন ট্রুডোর বিচ্ছেদ নিয়ে মাতামাতিতে বিরক্ত মাহি
দীর্ঘ দেড় যুগের দাম্পত্যজীবন থেকে বেরিয়ে এসেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়া। দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে এই দম্পতিকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। তাই তাদের সংসার ভেঙে যাওয়ায় অবাক হয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
বুধবার (২ আগস্ট) ১৮ বছরের সংসারজীবনের ইতি টানেন ট্রুডো- সোফি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক বিবৃতির মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথাটি জানিয়েছেন ট্রুডো। এছাড়া তার স্ত্রীও আলাদা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে চর্চায় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই জুটির ঘর ভাঙার প্রসঙ্গটি। যার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। নেটমাধ্যমে ঢুকলেই আঁচ পাওয়া যায় বিষয়টি।
বিজ্ঞাপন
ব্যাপারটিতে বেশ বিরক্ত ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিচ্ছেদে দেশের মানুষের অত্যধিক প্রতিক্রিয়া দেখানো একদমই ভালোভাবে নেননি এ নায়িকা। গতকাল সন্ধ্যায় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বুঝলাম না ট্রুডো-সোফির কোনো সমস্যা নাই। আমরা কেন মারা যাচ্ছি।’ সঙ্গে জুড়ে দেন তিনটি ‘অ্যাংরি’ ইমোজি। মন্তব্যের ঘরে তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন অনেকেই।
জাস্টিন ট্রুডো এবং সোফি ২০০৫ সালে বিয়ে করেন। তাদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান মাত্র তিন বছরের। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হন ট্রুডো। একসময় তার বাবাও কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এই দম্পতির বিচ্ছেদে বয়সের ব্যবধান, ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবন, একে-অপরের প্রতি বিশ্বাস না থাকা এবং পারিবারিক চাপ প্রভাব রেখেছে—এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এসব কারণের কোনোটিই নিশ্চিত নয়।
এছাড়া ট্রুডোর নারী রাজনৈতিক সহকর্মী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলির সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকার একটি গুঞ্জন বের হয়েছিল। আর এ গুঞ্জন সদ্য সাবেক এই দম্পতির বিচ্ছেদে প্রভাব রেখেছিল বলে ধারণা করা হয়।
জাস্টিন ট্রুডো এবং সোফির মধ্যে দূরত্বটা গত কয়েক বছর ধরেই পরিলক্ষিত হচ্ছিল। তাদের একসঙ্গে জনসম্মুখে খুব বেশি দেখা যাচ্ছিল না। তবে বিচ্ছেদের ঘোষণার পর তারা জানিয়েছেন, তিন সন্তানের বেড়ে ওঠার দিকেই এখন তারা নজর দেবেন এবং একে-অপরকে এক্ষেত্রে সহায়তা করবেন।
কেএইচটি