৮৩ কোটির সিনেমায় বাংলাদেশে আয়ের টার্গেট ৫ কোটি
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গোয়েন্দা উপন্যাস ‘মাসুদ রানা: ধ্বংসপাহাড়’ অবলম্বনে হলিউডের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনা আর দেশ-বিদেশের তারকার সমাহারে নির্মিত হয়েছে ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ সিনেমা।
নাম ঘোষণার পর থেকেই ছবিটি নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। কারণ, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার দাবি, এই ছবির বাজেট ৮৩ কোটি টাকা! যা ঢালিউডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বিজ্ঞাপন
ছবিটি নির্মাণ করতে ৮৩ কোটি টাকা খরচ হলেও বাংলাদেশের সিনেমা বাজার তো এত বড় নয়। তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এত টাকা তুলবেন কিভাবে সিনেমাটির নির্মাতারা।
বিষয়টি খোলাসা করলেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। সিনেমাটি নিয়ে বুধবার (২ আগস্ট) নিজ বাসায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। যেখানে এক প্রশ্নের জবাবে আজিজ বলেন, ‘আমাদের বক্স অফিস টার্গেট ৭০০ কোটি। এর মধ্যে নেট আয় টার্গেট ৩০০ কোটি। ইতোমধ্যে আমরা আমেরিকার একটি ওটিটির সঙ্গে ১০০ কোটি টাকায় রাইটস বিক্রির কথা বলে রেখেছি। এছাড়া নানা জায়গা থেকে আমরা আয় করবো। আর বাংলাদেশ থেকে আমাদের টার্গেট ৫ কোটি টাকা নেট আয়ের।’
তার মানে আজিজের কথায় এটা স্পষ্ট, ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ সিনেমাটির আয়ের বড় অংশ দেশের বাহিরে থেকেই উপার্জন করার লক্ষ্য প্রযোজনা সংস্থার।
প্রসঙ্গত ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবর। যেখানে মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা যাবে এবিএম সুমনকে। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান।
এছাড়া হলিউড অভিনেতাদের মধ্যে আছেন ফ্র্যাংক গ্রিলো, মাইকেল জাই হোয়াইট, নিকো ফস্টার এবং ভারতের ওমি বৈদ্য। বাংলাদেশি অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম ও টাইগার রবি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন বিশাল বাজেটে নির্মিত এই ছবি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় আলাদা আলাদা শুটিং হয়েছে। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ছবিটির বিভিন্ন শট ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক, দ্য ফিল্ম পোস্ট, আল ব্রাভো ফিল্মস এবং এমআর-নাইন ফিল্মস ছবিটি প্রযোজনা করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে মুক্তি পাবে ‘এমআর-৯’।
এনএইচ