পান্না কায়সারের চরিত্রে মিম
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। দেড় দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে হাজির করেছেন। এবার তাকে দেখা যাবে লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ পান্না কায়সারের চরিত্রে। ছবিটি প্রযোজনা করছেন তার মেয়ে অভিনেত্রী শমী কায়সার।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। পান্না কায়সারের লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, এই ছবির মাধ্যমে পান্না কায়সারের দৃষ্টিকোণ থেকে শহীদুল্লা কায়সারকে আবিষ্কার করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ইস্কাটনের একটি বাড়িতে শুরু হয়েছে এই ছবির শুটিং। এতে শহীদুল্লা কায়সার চরিত্রে অভিনয় করছেন মোস্তফা মনওয়ার।
মা পান্না কায়সারের চরিত্রে মিমকে নেওয়ার বিষয়ে শমী বলেন, ‘পান্না কায়সার সাদামাটা গ্রামের এক মেয়ে, একটু লম্বা, শারীরিক গড়নটা যেমন, সেটার সঙ্গে মিম অনেকখানিই যায়। আর মিমের অভিনয়দক্ষতাও আছে। সেই বিবেচনা থেকেই তাকে নেওয়া হয়েছে।
শমী কায়সার প্রযোজিত ছবিতে অভিনয় করতে পেরে উচ্ছ্বসিত মিম। তিনি বলেন, ‘মাস দুয়েক আগে শমী আপু ফোন করলেন। গল্পটা শোনালেন। তার মায়ের চরিত্রে আমি ছাড়া কাউকে দেখছেন না শুনে আমি তো অবাক! যে শমী আপুকে ছোটবেলা থেকে দেখে বড় হয়েছি, যার অভিনয় প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করেছে, ব্যক্তিত্বে অনুপ্রাণিত হয়েছি, সেই শমী কায়সারের মায়ের চরিত্র! চোখ বন্ধ করেই হ্যাঁ বলে দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে বিয়ে হয় পান্না কায়সারের। সেদিন ঢাকা শহরে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। স্বামীর হাত ধরে পান্না কায়সারের পরিচয় হয় আধুনিক সাহিত্য ও রাজনীতির সঙ্গে। তাদের সংসারজীবন স্থায়ী হয় মাত্র দুই বছর দশ মাসের মতো।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কজন সদস্য শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারকে। কিন্তু তিনি শুধু সংসারজীবনে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। নিজেকে যুক্ত করেছেন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে।
কেএইচটি