পরীমণির সংসার ভাঙার জন্য আমি দায়ী হবো কেন?
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ ও অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজের স্ত্রী চিত্রনায়িকা পরীমণি।
সোমবার দিবাগত রাতে ছবি ও ভিডিও প্রকাশের পর এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন সুনেরাহ। যেখানে তিনি সরাসরি পরীমণির নাম উচ্চারণ না করেও তাকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পরী। রাজের সঙ্গে সংসার ভাঙলে সুনেরাহ দায়ী থাকবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পরীমণি বলেন, ‘ওই মেয়েকে (সুনেরাহ) আমি চিনিই না। ওর সঙ্গে আমার কখনো কথাই হয়নি। তাহলে কেন ও আমাকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করছে। রাজের ফেসবুক থেকে প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে অনেকেই দেখেছেন। ওখানে ওর মুখের ভাষা কেমন ছিল। আর ওরা কি স্বাভাবিক ছিল। এটা কোন ধরণের বন্ধুত্ব? রাজের ফেসবুক হ্যাক হয়নি। এটি করেছে ওই মেয়েই! কারণ রাজ ঘুমালে তার কোন হুশ থাকে না।
পরী আরো বলেন, আমরা সংসার জীবন নিয়ে বেশ ভালোই ছিলাম। কিন্তু এটি অনেকের ভালো লাগছে না। তাই আমার সংসারের পেছনে লেগেছে তারা। তার কথা ও মাতলামি দেখেছেন? এবার বুঝেন। মানুষ মনে করে, দেশের সব মদ আমিই খাই! বাকিরা সবাই ধোয়া তুলসী পাতা। ওই মেয়ে হুমকি দিয়েছে, আইনের ভয় দেখিয়েছে- আইন কি শুধু তার জন্যই। আমিও তাকে দেখে নেব, ধৈর্যের একটা সীমা আছে! আমার মনে হয় ও (সুনেরাহ) আমার সংসারটা ভাঙার চেষ্টা করছে।
পরীমণির এই বক্তব্যে প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রী সুনেরাহ’র সঙ্গে। আপনি পরীমণির সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন- ‘প্রশ্নই আসে না। রাজের সঙ্গে আমার একসময়ে খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু রাজ ও পরীর বিয়ের পর থেকে তার সঙ্গে আমার আর তেমন কোনো যোগাযোগ নেই। যেই ছবি-ভিডিও ছড়িয়েছে সেগুলোও রাজের বিয়ের আগের। যেখানে তার সঙ্গে আমার সেভাবে যোগাযোগই নেই, তাহলে আমি কিভাবে তাদের সংসার ভাঙার চেষ্টা করবো?’
তাহলে পরীমণি কেনো আপনাকে দায়ী করছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সুনেরাহ বলেন, ‘এটা তো তার জন্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগে তিনি বিদ্যা সিনহা মিমকে নিয়েও এই একই অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার আমার নামে বলছেন।’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ছবি-ভিডিও ফাঁসের ঘটনার পরপরই আমি রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাকে জিজ্ঞেস করি, সে এগুলো পোস্ট করেছে কিনা। কিন্তু রাজ আমাকে জানায়, সে এই ছবি-ভিডিও পোস্ট করেনি। এটা অন্য কেউ করেছে। অন্য কেউ বলতে কে হতে পারে সেটা অনুমান করাই যায়।’
এনএইচ