শাকিবের সঙ্গে কথা বললেই থাপ্পড় খেতেন অপু!
শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কী সেটা বোঝার চেষ্টা করছেন অনেকেই। বৈবাহিক সম্পর্কে তিক্ততা চূড়ান্তে পৌঁছলে ছাড়াছাড়ি ঘটে প্রাক্তন এই জুটির। তবে ছেলে আব্রাম খান জয়ের সুবাদে মাঝেমধ্যে দুজনের সাক্ষাৎ ও টুকটাক কথাবার্তা হয় বলেও একাধিকবার জানিয়েছেন তারা।
বর্তমানে তাদের সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, অতীতে এই জুটির সম্পর্কের গভীরতা ছিল ব্যাপক। মধুর কথাবার্তা শেষে মন দেওয়া-নেওয়া সবটাই ঘটেছে নিরালায়। বিষয়টা হয়তো নজরে এসেছিল নায়িকার মায়ের। তাই তো মেয়েকে শাসাতেন, কথা বলতে বারণ করতেন। প্রয়োজনে হাতও তুলতেন।
বিজ্ঞাপন
পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে এক সাক্ষাৎকারে অপু বলেন, ‘মা একসময় শাকিবের সঙ্গে কথা বলতে দিত না। সেটেও সব সময় মা বসে থাকত। শাকিবের সঙ্গে অতিরিক্ত কথা বললে আমাকে থাপ্পড়ও মেরেছে মা।’ নায়কের সঙ্গে সম্পর্ক তিনি যে মোটেই ভালো চোখে দেখেননি, সে কথাই জানান অপু।
শুধু তা-ই নয়, শাকিবকে হুমকিও দিয়েছিলেন নায়িকার মা। অপুর কথায়, ‘শাকিবকে মা বলেছিল, তোমাদের দুজনের পছন্দ হলে বিয়ে করো। তারপর ঘুরো। আমি ভালোবেসে আদর করে কষ্ট করে মেয়ে বড় করেছি। তোমাদের দুজনের মত থাকলে আমাদের সমস্যা নেই।’
এরপর দুজনে হুট করে বিয়ে করলেও পরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন অপু। তাই তো দর্শকদের একই ভুল করতে বারণ করলেন নায়িকা। তার ভাষ্য, ‘বিয়ে করার আগে চিন্তা করবেন। আমার মতো হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ বোকামি করবেন না। বিয়ের পর এত ঝামেলা আমি আগে বুঝিনি। আবেগে বিয়ে করে ফেলি। মূলত শাকিবের সঙ্গে ফ্রি কথা বলার জন্য বিয়ে করেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে গোপনে ঘর বাঁধেন শাকিব-অপু। ২০১৬ সালে তাদের ঘর আলোকিত করে আসে পুত্রসন্তান আব্রাম খান জয়। ক্যারিয়ারের কথা ভেবে দুজনেই তখন সন্তান জন্মের বিষয়টি গোপন রাখেন। পরে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরলে ২০১৮ সালে একে অপরকে ডিভোর্স দেন।