শাকিব খানকে প্রযোজক রহমত উল্লাহর লিগ্যাল নোটিশ
আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে ঢালিউড শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রহমত উলাহর পক্ষে অ্যাডভোকেট তবারক হোসেন ভুঁইয়া এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে শাকিব খানকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো, অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
বিজ্ঞাপন
এই প্রযোজকের নামে মানহানি মামলা করতে শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব খান। সেখানে তার মামলা নেওয়া হয়নি। পরের দিন রবিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন বলে গণমাধ্যমকে জানান শাকিব খান। সেখানে শাকিব তার বক্তব্যে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার, প্রতারক ও ভুয়া প্রযোজক বলে উল্লেখ করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের মক্কেল রহমত উল্লাহ একজন প্রযোজক হওয়া সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তার নামে মিথ্যা, মানহানিকর এবং আক্রমণাত্মক মন্তব্য/বিবৃতি দিয়েছেন। গেল ১৯ মার্চ বিকেলে ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকে আপনি বলেছেন, রহমত উল্লাহর মতো একজন ভুয়া, প্রযোজক নামধারী, বাটপার, প্রতারক সবার সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং এফডিসিতে গিয়ে শিল্পী সমিতি, পরিচালক প্রযোজক সমিতিতে বিচার চেয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা শাখাকে বলেছেন যে, রহমত উল্লাহ প্রযোজক না হয়ে আজেবাজে প্রোপ্রাগান্ডা সৃষ্টি করেছেন, যা অসত্য।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আপনি রহমত উল্লাহকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এবং খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন। এতে তার সুনাম নষ্ট হয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের সামনে অপমানজনক, মিথ্যা মন্তব্য/বিবৃতি দেওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ধারা ২৫ এবং ২৯ এর অধীনে ফৌজদারি অপরাধে আওয়াত পড়ে। যাতে পেনাল কোড ১৮৬০-এর ধারা ৪৯৯ এবং ৫০০ এর অধীনে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে।
প্রসঙ্গত, সমস্যার সূত্রপাত হয় গত ১৫ মার্চ থেকে। যখন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক শাকিবের বিরুদ্ধে শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো, নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ, অসদাচরণ ও চুক্তিভঙ্গসহ একাধিক লিখিত অভিযোগ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতিতে জমা দেন। পর দিন শাকিব সেই প্রযোজকের সঙ্গে মীমাংসার টেবিলে বসলেও কোনো ফলাফল আসেনি। এরপর ওই প্রযোজক চলে যান অস্ট্রেলিয়াতে, আর শাকিব ছোটেন থানা ও ডিবি কার্যালয়ে।
এমএইচডি/কেএইচটি