ভারতের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের জীবনীকে উপজীব্য করে বানানো হচ্ছে ‘পদাতিক’। এতে পর্দার মৃণাল সেন হচ্ছেন বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরী। এটা পুরোনো খবর। নতুন খবর হলো, ছবিটির প্রথম ধাপের শুটিং শেষ হয়েছে। সোমবার দেশে ফিরেছেন চঞ্চল। জানালেন ছবিতে তার অভিনয় অভিজ্ঞতার কথা।

নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির নির্দেশনায় অভিনেতা হিসেবে প্রথম কাজ। তারওপর কোনো জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো অভিনয়। সব মিলিয়ে একধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল বলা চলে।

চঞ্চলের কথায়, ‘চরিত্রটি আমার জন্য সহজ নয়। জীবনীভিত্তিক সিনেমায় দর্শকেরা ওই চরিত্রে হুবহু দেখতে চান। চেহারা, কণ্ঠ মেলাতে চান। তাই আমি ভয়ও পাই। মৃণাল সেনের আদল, হাঁটাচলা, অঙ্গভঙ্গিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’

এ ধরনের চরিত্রে কাজ করতে প্রস্তুতির দরকার পড়ে। অন্তত দু-তিন মাসের প্রস্তুতি নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে কাজটি অন্যরকম হতো বলে মনে করেন ‘কারাগার’ অভিনেতা। কিন্তু মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরীর মৃত্যু। সময়টা মোটেও ভালো কাটেনি চঞ্চলের।

তার ভাষায়, ‘যতটুকু শুটিং করেছি, এর চাইতে আরেকটু ভালো করতে পারতাম। ভাষাগত দিক দিয়ে সমস্যা একটু হয়েছে। ইংরেজি, হিন্দির বিষয় আছে। এ ছাড়া ওদের বাংলার উচ্চারণ আমাদের মতো নয়। তবে এসব ডাবিংয়ে কাটিয়ে ওঠা যাবে।’

এছাড়া পর্দায় তাকে পরিপূর্ণ মৃণাল হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন ‘পদাতিক’ নির্মাতা সৃজিত। অভিনেতাকে মৃণাল সেনের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের ডিভিডি, বইপত্র ধরিয়ে দেন প্রস্তুতির জন্য। সিনেমার গল্পে মৃণাল সেনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ছয়টি লুকে দেখা যাবে চঞ্চলকে। কাজটি কঠিন হলেও ঠিকঠাকমতো শেষ করতে পারলে এটি একটি ঐতিহাসিক কাজ হবে বলে মনে করেন এই অভিনেতা।

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ছবিটির দ্বিতীয় ধাপের শুটিং। তার আগেই কলকাতার উদ্দেশে উড়াল দেবেন চঞ্চল। তৃতীয় অর্থাৎ সিনেমার শেষ ধাপের দৃশ্যধারণ হবে ইতালিতে। সিনেমায় মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় অভিনয় করছেন টলিউডের অভিনেত্রী মনামী ঘোষ।