সুখ-আনন্দে আমাদের ঘর এখন ভরপুর : শরিফুল রাজ
বছরের শুরুতে বিচ্ছেদের সুর বেজে উঠেছিল রাজ-পরীর সংসারে। উভয় পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছিল, সম্পর্ক জোড়া লাগার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। এমনকি দুজন দুজনকে প্রাক্তনের খাতায়ও ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কীসের কী— প্রাক্তন আপন হলো, দুজনের সম্পর্কটাও আবার জোড়া লাগল! কেমন চলছে তাদের সংসার, জানালেন ঢাকাই সিনেমার এ তারকা দম্পতি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে একসঙ্গে দেখা দিলেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। সন্তান রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তারা। সংসার কেমন চলছে? প্রশ্ন শুনেই রাজের সেই স্বভাবসুলভ হাসি। উত্তরটা যেন তার মুখস্ত তাই জবাব দিতেও সময় নিলেন না। বললেন, ‘খুবই ভালো, ফ্যান্টাস্টিক, জোশ যাচ্ছে আমাদের সংসার। বলতে পারেন সুখ-আনন্দে আমাদের ঘর এখন ভরপুর।’
বিজ্ঞাপন
সংসার মানেই খুনসুটি, একটু-আধটু ঝগড়া। মান-অভিমানে ভালোবাসার গভীরতাও বাড়ে এমনটাই রাজের অভিমত। তার কথায়, ‘সংসার জীবনে ঝুটঝামেলা থাকেই। এটি প্রায় সব সংসারেই হয়। আমি মনে করি, দাম্পত্য জীবনে একটু মান-অভিমান থাকলে ভালোবাসার গভীরতা বাড়ে। আমাদেরও বেড়েছে, হা হা হা...।’
রবিবার (২২ জানুয়ারি) রাজ-পরীর প্রথম বিবাহবার্ষিকী। বিশেষ দিনটির পরিকল্পনা সম্পর্কে মুখ খুললেন পরী। জানালেন, দুজন দুজনকে সারপ্রাইজ তো দেবেনই। তবে পরীর পক্ষ থেকে রাজের জন্য উপহার তার ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ একসঙ্গে বসে উপভোগ করা। পরীমণি বলেন, ‘আমি এখনও দেখিনি। আজ আমার ও রাজের জন্য বিশেষ দিন। সন্ধ্যায় নিজে টিকিট কেটে রাজকে আমার সিনেমা দেখাব। এটি বিবাহবার্ষিকীতে রাজের জন্য উপহার।’
তবে রাজের বিরুদ্ধে পরীর অনুযোগও শোনা গেল এদিন। ছেলে রাজ্য দিন দিন বড় হচ্ছে সঙ্গে অভ্যাসেও ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। এখন সে সারারাত জেগে থাকে তাই মা পরীকেও জেগে থাকতে হয়। ওইদিকে রাজ্যর বাবা পড়ে পড়ে ঘুমায়। রাজের এই স্বার্থপরতা নিয়েই পরীর আদরমাখা অনুযোগ। বোঝাই যাচ্ছে, দুষ্টু-মিষ্টি ভালোবাসায় ভালোই কাটছে রাজ-পরীর সংসার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি ও অভিনেতা শরিফুল রাজ। মাত্র সাতদিনের পরিচয়ে তারা বিয়ে করেছিলেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা। একইদিন সন্তানধারণের বার্তাটিও দেন এ দম্পতি। এরপর ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন। একই বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।