বুবলীকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার দিইনি: শাকিব খান
এবারের জন্মদিন (২০ নভেম্বর) উপলক্ষে শাকিব খানের কাছ থেকে একটি ডায়মন্ডের ‘নাকফুল’ উপহার পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন নায়িকা বুবলী। সেই খবরের একটি লিংক নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী, নায়িকা অপু বিশ্বাস লিখেছিলেন- ‘কী যে মজা!’ সঙ্গে জুড়ে দেন তাচ্ছিল্যের হাসি।
বুবলীও সেই পোস্টের জবাব দেন। নিজের ফেসবুকে তিনি লেখেন, “একজন হঠাৎ করেই বলে উঠল, ‘আরে ওই বেটি যে আপনাদের ছবিসহ নিউজ তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে বাঁধাই করে রাখসে, এটাই তো আপনার মজা। এতেই তো বোঝা যায়, তার শয়নে-স্বপনে শুধুই আপনি। হা হা হা।”
বিজ্ঞাপন
‘নাকফুল’ নিয়ে অপু-বুবলীর এমন পাল্টাপাল্টি পোস্ট নিয়ে মেতে ওঠেন নেটিজেনরাও। তারা নিজেদের মতো করে মুখরোচক মন্তব্যে মাতেন দুই নায়িকার পোস্টে।
এ প্রসঙ্গে এতদিন চুপ ছিলেন শাকিব। এবার মুখ খুললেন তিনি। শাকিব জানালেন, বুবলীকে ডায়মন্ডের কোনো নাকফুল উপহার দেননি তিনি।
গণমাধ্যমকে শাকিব খান বলেন, ‘ডায়মন্ডের নাকফুল তিনি (বুবলী) উপহার পেতেই পারেন। ১টা কেন, ১০টাও পেতে পারেন। তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবেরা আছেন। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করে একটা কথা বলতে চাই, ডায়মন্ড নাকফুল আমি তাকে উপহার দিইনি।’
‘বীর’-এর বাবা আরও যোগ করেন, ‘সত্যি কথা বলতে, তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। উপহার দেওয়া কিংবা উইশ করা—কোনোটাই আমার পক্ষ থেকে হয়নি। সন্তানের প্রয়োজনে সে আমাকে বা আমি তাকে লিখলেও তা শুধু শেহজাদকে কেন্দ্র করে যতটুকু দরকার, ততটুকুই হয়, এর বাইরে আর কোনো কিছুর প্রশ্নই আসে না।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন বলে জানান বুবলী। ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তানের বাবা-মা হন তারা। তাদের সন্তানের নাম শেহজাদ খান বীর। এরপর বিভিন্নভাবে শাকিব ইঙ্গিত করেছেন বুবলীর কাছ থেকে তিনি আলাদা আছেন। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি বুবলী। বরং তার সাম্প্রতিক বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছে দুজনের সুখে থাকার বার্তা। এরমধ্যে শাকিবের এমন মন্তব্য নতুন রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
এর আগে ২০০৮ সালে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন ঢাকাই সিনেমার দুই শীর্ষ তারকা শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। তবে বিয়ের খবর টের পায়নি কেউ। ২০১৭ সালে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভে সন্তান আব্রাহাম খান জয়সহ হাজির হন অপু। এরপর জানান, তিনি ও শাকিব বিবাহিত এবং এই সন্তান তাদেরই। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচ্ছেদ হয় তাদের।