রবিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব, প্রেম ও বিয়ের গল্প শোনালেন পূর্ণিমা
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমার বিয়ের খবর এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। প্রায় দুই মাস (২৭ মে) আগে তিনি বিয়ে করেন আশফাকুর রহমান রবিন নামের তরুণকে। তবে সে খবর প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে। এরপর থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন নায়িকা।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বর রবিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব, প্রেম ও বিয়ের গল্প শোনান পূর্ণিমা। জানান, ২০১৮ সালে একটি ইভেন্টে অথবা নাটকের শুটিংয়ে আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে তার সঙ্গে প্রথম পরিচয়।
বিজ্ঞাপন
পূর্ণিমার ভাষ্য, ‘তখন সে (রবিন) অন্য একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতো। ওই কোম্পানির পক্ষ থেকে অনেক ইভেন্ট হতো। ইভেন্টে নিজের অধীনে থাকা ব্র্যান্ডগুলো দেখতো রবিন। সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তাদের কাজ। আমিও টানা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করি। ওখান থেকেই আমাদের কথাবার্তা শুরু হয়।’
কথা বলতে বলতে আমাদের মধ্যে ভালো একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয় জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘ছেলেটা আসলেই খুব ভালো। ভালো একজন মানুষ। যার কাছে সবকিছু বলা যায়। যাকে সবক্ষেত্রে বিশ্বাস করা যায়। আমরা কাজের ক্ষেত্রে কাজই করেছি। আবার বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সেটা সেভাবে বজায় রেখেছি।’
‘মনের মাঝে তুমি’ নায়িকার কথায়, ‘তাদের (রবিনদের) পরিবারটা খুবই রক্ষণশীল। আমিও সব জায়গায় গিয়ে ঘুরে বেড়ানো, রেস্টুরেন্টে খাওয়া এরকম টাইপের মানুষ না। ভালো লাগা, বোঝাপড়া থেকে মনে হয়েছে ঠিক আছে। সেখান থেকে দুজনেরই যখন মনে হয়েছে জীবনসঙ্গী হিসেবে, পার্টনার হিসেবে আমাদের এগোনো উচিত, তখনই পরিবারকে জানাই।’
দুই পরিবার তাদের সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘একদিকে তাদের কনজারভেটিভ ফ্যামিলি। অন্যদিকে আমার একটা ব্র্যাকগ্রাউন্ড আছে। অনেক কিছু মিলিয়ে সবাই একসেপ্ট করবে কিনা; এগুলোর একটা বিষয় তো ছিলই। কিন্তু তার পরিবার খুব সুন্দরভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছে।’
বিয়ের প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, “সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে হুট করেই। রোজার ঈদের পর। পরিবারকে যখনই জানানো হয়েছে ওনারা বলেছেন, ‘তাহলে আর দেরি করো না। এক দুই সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে ফেলো।’ কোনো ধরনের কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। হুট করেই আমরা বিয়েটা করেছি। বিয়ের পর সবাই একটু অসুস্থ ছিলাম। প্রত্যেকেরই জ্বর, আমার আম্মা এখনো হাসপাতালে ভর্তি। ফলে বিয়ের পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ারও সুযোগ হয়নি।’’
দুই মাসে নতুন জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন? জানতে চাইলে পূর্ণিমার ভাষ্য, ‘আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো। ভালোভাবে আছি। চাচ্ছি সব ধরনের নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকতে। সবাই যেন পজিটিভভাবে জিনিসগুলো নেয়। কারণ মানুষ নেগেটিভ ভাইব দিয়ে এসব নিউজ ক্যাশ করতে চায়। ওটাকে ভয় পাচ্ছিলাম। আল্লাহর রহমতে যখন দেখলাম আমার দুই ফ্যামিলিই খুবই ভালোভাবে মেনে নিয়েছে। তখন তো আর কিছু বলার নাই।’
সবশেষে পূর্ণিমা জানান, আত্মীয়স্বজনকে এখণো সেভাবে বিয়ের কথা বলা হয়নি। অপরদিকে স্বামী রবিনের আত্মীয়স্বজনদের কয়েকজন দেশের বাইরে থাকেন। তাদের নিয়ে হয়ত আগামী ডিসেম্বরে শীতের মধ্যে একটা অনুষ্ঠান পরিকল্পনা রয়েছে। তবে একদম ঘরোয়াভাবে হবে সেই আয়োজন। তাতে হয়ত ২০ জনের মতো অতিথি থাকবেন।
উল্লেখ্য, পূর্ণিমার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায়। বাবা-মার পাশাপাশি দুই বোনকে নিয়ে তাদের সংসার। এবার সেই সংসারে আলো জ্বালতে যুক্ত হলেন ঢাকাই সিনেমার তারকা নায়িকা পূর্ণিমা।
আরআইজে/কেআই