আমি সিনেমা খাই, সিনেমা পান করি: আলমগীর
আগামীকাল ২৪ জুন ঢাকার সিনেমাপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ দিন। এদিন দেশের চিরসবুজ নায়ক আলমগীর-এর অভিনয় জীবনের সুবর্ণ জয়ন্তী পূর্ণ হচ্ছে। ৫০ বছর আগে, ১৯৭২ সালের এই দিনে আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ চলচ্চিত্রের জন্য প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সে কারণে এই দিনটি আলমগীর ভক্ত এবং বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিশেষ হয়ে থাকবে।
এ উপলক্ষ্যে মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘রাঙা সকাল’-এর একটি বিশেষ পর্বে হাজির হয়েছেন এই অভিনেতা। এই বিশেষ পর্বে নায়ক আলমগীর জানিয়েছেন, তার মুঠোফোনের ওয়ালপেপারে সবসময়ই তিনি প্রথম সিনেমা ‘আমার জন্মভূমি’র স্থিরচিত্র রেখে দেন।
বিজ্ঞাপন
নায়কের ভাষায়, ‘আমি সিনেমা খাই, সিনেমা পান করি, সিনেমাতে ঘুমাই, সিনেমাই আমার সব’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘আমার জন্মভূমি’ এবং ‘দস্যুরানী’ নামের দুটি ছবি একসাথে মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৩ সালের ২৪ অক্টোবর, ঈদের দিন। মাত্র ২২ বছর বয়সে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বাকি ৫০ বছর চলচ্চিত্রের সাথেই আছেন।
জীবনের সিংহভাগ সময় অভিনয়কে দেয়ার পরও নায়ক আলমগীরের নিজেকে নিয়ে মন্তব্য, ‘এখনো সুঅভিনেতা হতে পারিনি। কারণ শিল্পী হওয়া এত সহজ নয়। অভিনয়ে পূর্ণমান ১০০-তে নিজেকে পাস মার্কস দিতে রাজি; এর বেশি নয়’।
বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ আজীবন সম্মাননা পদক পাবার রেকর্ড নায়ক আলমগীরেরই রয়েছে। ১৯৮৫ সালে প্রথম ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ টানা ৪ বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি, যা আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
দুই ঘণ্টাব্যাপী ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি প্রচারিত হবে আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ৭টায়। উপস্থাপনায় রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য। প্রযোজনায় জোবায়ের ইকবাল।
আরআইজে