ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক কাজী মারুফ ২০১৫ সাল থেকে আমেরিকায় যাওয়া-আসার মধ্যে। ২০১৯ সালে দেশটির গ্রিন কার্ড পান তিনি। আপাতত সেখানেই স্থায়ী ‘ইতিহাস’ খ্যাত এই নায়ক। সেখানে থেকে ‘গ্রিন কার্ড’ নামে একটি সিনেমাও বানিয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান গত বছরের নভেম্বর থেকে আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। সেখানকার নাগরিকত্বের আবেদনও করেছেন। নিউইয়র্কে থেকে তিনিও নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন।

আমেরিকায় থাকার সুবাদে শাকিব ও মারুফের প্রায়শই দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। নিয়মিত নানান আড্ডায়, হাসি-আনন্দে মুখর হচ্ছেন তারা। এভাবে একে অপরকে কাছে পেয়ে, সময় কাটিয়ে দারুণ এক বন্ধুত্বেও জড়িয়ে গেছেন দুই নায়ক। দুজনের এই বন্ধুত্বের কথা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন কাজী মারুফ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকতে শাকিব খানের সঙ্গে আমার খুব একটা দেখা হয়নি। সবশেষ ৮ বছর আগে জাজ মাল্টিমিডিয়ার একটা আয়োজনে দেখা হয়েছিল। তবে সে আমেরিকায় আসায় গত কয়মাসে আমাদের অনেকবার দেখা হয়েছে, আড্ডা হয়েছে, মন খোলা কথাবার্তা হয়েছে। নিজেদের ব্যক্তি জীবন, পরিবার, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিসহ পৃথিবীর নানান বিষয় উঠে আসছে আমাদের আড্ডায়। এভাবে আমাদের মধ্যে দারুণ একটা বন্ধুত্বও তৈরি হয়েছে। সময়টা দুজনই বেশ এনজয় করছি।’

আমেরিকায় দুই নায়কের সঙ্গে আড্ডায় আশরাফুল আলম খোকন ও হিল্লোল

‘অন্ধকার’ নায়ক কাজী মারুফ আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে দেশে থাকার সময় দুজনই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি। এখানে দুজনের হাতেই ফ্রি সময় আছে। ফলে এই সময়টায় আমরা একজন আরেকজনকে আরও ভালোভাবে জানার, বোঝার সুযোগ পাচ্ছি। নানান বিষয় শেয়ার করছি। দেশের সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রি নিয়ে অনেক আলাপ করছি।’

আমেরিকায় ঘোষণা দেওয়া শাকিব খানের সিনেমা ‘রাজকুমার’ প্রসঙ্গে এই চিত্রনায়কের ভাষ্য, ‘আমি শাকিব খানকে বলেছি তোমার ছবি মানে আমার ছবি, আমার ছবি মানে তোমার ছবি। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব তোমার সাহায্যে এগিয়ে আসব। আমি চাই দেশকে তুমি চমৎকার একটা সিনেমা উপহার দাও।’

সবশেষ কাজী মারুফ বলেন, ‘দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে হলে স্টার শিল্পীদের কাজ করতে হবে। কারণ তাদের মাধ্যমেই দর্শক সিনেমার প্রতি বেশি কানেক্টেড হয়।’

আরআইজে