ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমী। ১৯৯৬ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সুখে-শান্তিতে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে সংসার করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি শুরু হওয়া এক বিতর্কে ভক্তদের মনে আশঙ্কা, চিড় ধরেছে সানী-মৌসুমীর সম্পর্কে!

সেই আশঙ্কা আরও বেশি পোক্ত হলো মৌসুমীর একটি অডিও বক্তব্যে। জায়েদ খান ও ওমর সানীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব-লড়াই ইস্যুতে ওই বিবৃতি দিয়েছেন নায়িকা।

মৌসুমী বলেন, ‘কেন এই প্রশ্নটা বারবার আসছে, সে (জায়েদ খান) আমাকে বিরক্ত করছে-উত্ত্যক্ত করছে, এই জিনিসটা আমার আসলে... জানি না এটা কেন হচ্ছে। এটা যদিও একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সমাধান করা দরকার ছিল।’

জায়েদ খানকে ‘ভালো ছেলে’ আখ্যা দিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আমাকে ছোট করার মধ্যে, যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি সেই ওমর সানী, তিনি কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন- সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমার সঙ্গে সমাধান করবে, সেটিই আমি আশা করি।’

এদিকে মৌসুমীর অডিও বক্তব্য শুনেছেন জানিয়ে এ নিয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন ওমর সানী। তিনি বলেন, ‘আমি জায়েদ খান সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছি সেখানে অটল আছি। জায়েদ খান সম্পর্কে পুরো ইন্ডাস্ট্রি যা জানে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারাও ভালো করে জানেন। ইন্ডাস্ট্রি, ইন্ডাস্ট্রির মানুষগুলো এটার উত্তর দেবে। আমি মৌসুমীকে বাজে কোনো কথা বলব না। সে আমার স্ত্রী। সে একজন গর্জিয়াস নারী। কোনো কারণেই তাকে আমি ব্লেইম দেবো না। সে কী ভেবে কী কারণে কথাগুলো (অডিওবার্তা) বলেছে এটা একমাত্র সে আর তার আল্লাহ জানে।’

ওমর সানীর ভাষ্য, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমার ছেলে বড় হয়েছে, তার স্ত্রী আছে। আমরা পাঁচজনের সংসার। সমস্ত কিছু, জায়েদ খানের গাড়ির বিষয়ে আমাদের কাছে বেশ ভালো প্রমাণ আছে। সেটা আমরা চাচ্ছিলাম না বলতে। সব পরিবারেই দাম্পত্য কলহ অল্পস্বল্প থাকে। আমরা চাচ্ছিলাম নিজেরা নিজেরা এটা মিট করতে। সেদিন এটা এত এক্সট্রিমলি চলে গিয়েছিল আমি আউটবার্স্ট হয়ে গিয়েছিলাম।’

সবশেষ এই নায়ক বলেন, ‘আমি মৌসুমীর প্রতি সম্মান জানাই। আমার ছেলে-মেয়ে বাকি কথাগুলো বলবে, এটার সত্যতা কতটুকু।’

আরআইজে