যে কারণে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হলেন কাজী মারুফ
২০০২ সালে ‘ইতিহাস’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। পরিচালনায় ছিলেন তার বাবা বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা কাজী হায়াৎ। সিনেমাটি সফল হয়েছিল, তিনিও পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা। এমনকি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জিতে নেন। এরপর আরও বহু সিনেমায় অভিনয় করে নিজের আলাদা অবস্থান তৈরি করে নেন।
বলছি চিত্রনায়ক কাজী মারুফের কথা। একসময়ের তুমুল ব্যস্ত এই নায়ক এখন সিনেমায় কাজ করেন না। স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। দেশ ছেড়ে মার্কিন মুলুকে স্থায়ী হয়েছেন কী কারণে? প্রবাসে কেমনই বা আছেন তিনি? এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খায় দর্শকের মনে।
বিজ্ঞাপন
এবার মারুফ নিজেই দিলেন জবাব। যুক্তরাষ্ট্রে থেকে লাইভে এসে ভক্তদের সঙ্গে আলাপ করেছেন, জানিয়েছেন তার অবস্থা সম্পর্কে। হাজার হাজার ভক্ত কেবল জানতে চেয়েছেন, তিনি কেমন আছেন? জবাবে মারুফ শুধু বলেছেন, ‘আমি ভালো আছি’।
সিনেমা ছেড়ে, দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কারণ জানিয়ে কাজী মারুফ বলেন, “বাংলাদেশে সিনেমা হচ্ছিল না। তেমন কাজ ছিল না। কিন্তু কিছু তো করে খেতে হবে। তা ছাড়া আমাদের ‘ছিন্নমূল’ সিনেমাটি ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তির কথা ছিল। সেভাবেই টার্গেট করেছিলাম। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তি দিতে দেয়নি একটি বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। পরিচালক ছিলেন আমার আব্বা। তারা আমার আব্বাকে বলেছিলেন, আমরা রিলিজ করতে না দিলে কীভাবে রিলিজ করবেন। আমার আব্বার মতো মানুষকে এই কথা শুনতে হয়েছিল। সেদিন আব্বা বাসায় এসে বললেন, আমি এই বয়সে যুদ্ধ করব? আমি চাই না তুমিও যুদ্ধ করো এদের সঙ্গে। চলে যাও আমেরিকা। এসব কারণেই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে এসেছি।’’
এসবের পাশাপাশি পারিবারিক কিছু কারণও ছিল বলে জানান কাজী মারুফ। তিনি বলেন, ‘একবার আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। হাসপাতালে আমার মেয়েকে এমনভাবে স্যালাইনের সিরিঞ্জ শরীরে প্রবেশ করানো হচ্ছিল, সেটা আমি দেখতে পারছিলাম না। সেই দৃশ্য দেখে চুপ হয়ে ছিলাম। তখন আমার চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম।’
মারুফ জানান, সেদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন। সেখানে বর্তমানে তিনি ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। প্রবাসে থেকেই সিনেমা বানাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন এই নায়ক।
কেআই/আরআইজে