আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন পরী ও অনাগত সন্তান: রাজ
জাতি, ধর্ম, সময় কিংবা বয়সের গণ্ডিতে আটকানো যায় না ভালোবাসাকে। দুটি হৃদয় যখন একে-অপরকে খুঁজে নেয়, তখন অন্য সবকিছুই অনর্থক হয়ে যায়। তেমনই অনন্য নজির তৈরি করে ভালোবাসায় ভর দিয়ে ঘর বেঁধেছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি ও অভিনেতা শরিফুল রাজ।
গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘গুণিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই প্রথম দেখা হয় তাদের। সেই দেখার মাত্র ৭ দিনের মাথায় তারা বিয়ে করেন। বিষয়টা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য। কিন্তু রাজ মনে করেন, তার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি পরী।
বিজ্ঞাপন
গত ১০ জানুয়ারি রাজ ও পরী জানান, তারা সন্তানের বাবা-মা হতে যাচ্ছেন। একইদিন তারা প্রকাশ্যে আনেন প্রেম ও বিয়ের ঘটনা। এরপর অবশ্য ২২ জানুয়ারি আবারও বিয়ে করে আনুষ্ঠানিকতা সারেন এই দম্পতি।
‘গুণিন’ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শরিফুল রাজ। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন অজানা অনেক কথাই। রাজ লেখেন, ‘রাত দুইটায় গুলশান ৭১ নাম্বার রোডে বসে ভাবছি শ্যুটিংটা করতে পারব কিনা, হাতে তখনো দুইটা স্ক্রু লাগানো। নিজেকে মানসিকভাবে উপযুক্ত মনে হচ্ছিল না। ডাক্তার সাফ জানিয়ে দিলেন, এই অবস্থায় শ্যুটিং করা সম্ভব না। অথচ শ্যুটিংয়ের বাকি তখন ছয় কি সাত দিন! অবাক করা বিষয় সেলিম ভাই শেষদিন অব্দি অপেক্ষায় ছিলেন, ওটাই হয়তো আমার মনোবলকে চাঙ্গা করেছে।’
এই সিনেমার শুটিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের আন্তরিক সমর্থন পেয়েছেন রাজ। সে কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “পরেরদিন এই অবস্থায় রিহার্সালে গেলাম। রিহার্সালে গিয়ে দেখা হলো পাভেল ভাইয়ের সাথে। তিনি মজার ছলেই বললেন, রাজ শ্যুটিং করবে কিভাবে? রাজকে আমরা শ্যুটিংয়ে চা-নাস্তা বানাতে নিয়ে যাই। পরক্ষণেই তিনি সাহস দিলেন আর বললেন, ‘আমার নিজের হাতেই স্ক্রু বসানো, ভয় পাস না, মনে সাহস রাখ।”
রাজ আরও লেখেন, ‘এই সিনেমায় অনেক বেশি সাহস আমাকে জুগিয়েছেন আমাদের ডিওপি খসরু ভাই। তিনি বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে আমাকে উৎসাহিত করতেন। তার উৎসাহে আমি সত্যিই কাজের উদ্যম ফিরে পাই। গুণিন-এ কাজ করতে গিয়ে যেই মানুষটা আমাকে সবসময় ছায়ার মতো বড় ভায়ের মতো সাহস যুগিয়েছেন, তিনি মনোয়ার ভাই। আমি আর মনোয়ার ভাই এক রুমেই থাকতাম, এই জন্য তার কাছ থেকে প্রতি মুহূর্তেই অনেক কিছু শিখেছি এই সময়ে।’
‘গুণিন’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। শরিফুল রাজের বাড়িও সেখানে। তাই নিজের এলাকায় শুটিংয়ের ব্যাপারে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি। এছাড়া গিয়াসউদ্দিন সেলিমের মতো খ্যাতিমান নির্মাতার কাজটি হাতছাড়া করতে চাননি এই তরুণ। তাই অসুস্থতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়েই শ্যুটিং করেছেন।
সবশেষে রাজ উল্লেখ করেন তার সেরা প্রাপ্তির কথা। লেখেন, “গুণিন’ সিনেমায় আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন আমার স্ত্রী পরী এবং আমাদের অনাগত সন্তান। এই লেখায় তার সম্পর্কে লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে। তাকে নিয়ে অন্য আরেকদিন। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।”
প্রসঙ্গত, ‘গুণিন’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে গত ১১ মার্চ, শুক্রবার। এর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম। এছাড়াও আছেন পরীমণি, শরিফুল রাজ, ইরেশ যাকের, মোস্তফা মনোয়ার, দিলারা জামান প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করেছে চরকি।
কেআই/আরআইজে