অবশেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকালে এফডিসির খোলা প্রাঙ্গণে শপথগ্রহণ করেন তিনি। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।

কেবল জায়েদ খান নন, এদিন শপথ নিয়েছেন জায়েদ পক্ষের আরও চারজন সদস্য। তারা হলেন সহ-সভাপতি পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সুচরিতা ও অরুণা বিশ্বাস।

শপথগ্রহণ শেষে সবাইকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জায়েদ খান। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের অনুমতি সাপেক্ষে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদেরকে অভিবাদন জানিয়েছেন এ নায়ক।

জায়েদ জানান, মূলত শিল্পী সমিতির প্রথম মিটিং ডেকেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সেই সুবাদে তারাও শপথ গ্রহণ করে নিয়েছেন। তবে জায়েদ পক্ষের হয়ে জয়লাভ করা মৌসুমী, রুবেল, আলীরাজ, রোজিনা ও চুন্নু শপথ নেননি। এর মধ্যে মৌসুমী রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে, রোজিনা আছেন রাজবাড়ীতে, অন্যরাও আছেন ঢাকার বাইরে।

উল্লেখ্য, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে অনেকদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে পদ ফিরে পেয়েছেন জায়েদ খান। গত ২ মার্চ জায়েদের পক্ষে রায় দেন আদালত।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিত্রি নির্বাচন। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন জায়েদ খান ও নিপুণ। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়লাভ করেন জায়েদ। এরপর পুনর্গণনাতেও তিনি জয় পান।

পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ। সেই প্রেক্ষিতে পদটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে।

এরপর জায়েদ খান আদালতের রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আবার নিপুণ আপিল করেন। সবমিলিয়ে পদটি নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তৃতীয়বারের মতো জায়েদই হলেন শিল্পীদের নেতা।

কেআই