বলিউডে সিরিয়াল কিসার হিসেবে অধিক পরিচিত ইমরান হাসমি। সিনেমায় তার জার্নি শুরু ২০০৩ সালে ‘ফুটপাথ’ ছবির মাধ্যমে। তবে ২০০৪ সালে ‘মার্ডার’ সিনেমা তাকে পরিচিতি এনে দেয়। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখা গেছে ইমরানকে।

মল্লিকা শেরাওয়াত, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, তনুশ্রী দত্ত, নার্গিস ফাখরিসহ বহু নামি নায়িকাকে পর্দায় চুম্বন করতে দেখা গেছে ইমরান হাসমিকে। এবার এমন এক ঘটনা সামনে এলো যা শুনে চমকে যাবেন। আজহার সিনেমাতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন নার্গিস ও ইমরান। সাবেক ভারতীয় অধিনায়ককে নিয়ে তৈরি এ বায়োপিকে সংগীতা বিজলানির চরিত্রে দেখা যায় নার্গিসকে। ছবিতে বেশ কয়েকটি কিসিং সিন ছিল। এমনই একটি দৃশ্যে নার্গিসকে চুম্বনরত ইমরান পরিচালক ‘কাট’ বলার পরও থামেননি। ক্যামেরা বন্ধ হওয়ার পরও চুমু চলছিল।

আরও পড়ুন : পরিচালকের শয্যাসঙ্গী হইনি বলে কাজ পাইনি: নার্গিস

২০১৬ সালে এ ছবির শুটিং করতে বিদেশে যান নার্গিস ও ইমরান। একটি গানের শুটিং করছিলেন তারা। গানটি ছিল ‘বল দো না জারা’। শোনা যায়, লন্ডনের শীতে শুট করা হয়েছিল পুরো গানটি। অন্তত পাঁচটি কিসিং সিন ছিল নার্গিস ও ইমরানের।

একটি সাক্ষাৎকারে নার্গিস জানান, তিনি জানতেনই না যে একবার দুবার নয় পাঁচবার লিপলক করতে হবে ইমরানের সঙ্গে। নার্গিস বলেন, ‘পাঁচবার চুমু খাওয়ার কথা ছবির চুক্তিপত্রে ছিল না। আমি তো ভেবেছিলাম এক্সট্রা চার্জ করব পাঁচটা চুমুর জন্য। আমি জানতাম ইমরান মনে মনে খুব খুশি হয়েছে। যদিও মুখে বলেছে ও কিছুই জানত না। আমি জানতাম ও মিথ্যা বলছে।’

আরও পড়ুন : পর্দায় খোলামেলা নুসরাতকে দেখে রেগে গেলেন বাবা

নার্গিস আরও জানান, তিনি ‘বল দো না জারা’ গানটি শুট করার সময় পরিচালক অ্যাকশন বলার সঙ্গে সঙ্গেই ইমরান তাকে চুমু খেতে শুরু করেন। তবে পরিচালক ‘কাট’ বলার পর চুমু থামাননি নার্গিস। হতভম্ব হয়ে যান ‘চুম্বনসম্রাট’ ইমরানও। আসলে পুরো ঘটনাটাই মজা করেই করেছিলেন নার্গিস। যদিও ডার্টি পিকচারের সময় থেকে পর্দায় চুমুর দৃশ্য করা বন্ধ করতে শুরু করেন ইমরান। তার কথায়, তিনি পর্দায় চুমু খেতে খেতে ক্লান্ত। ইমরান জানান, প্রতি ছবিতে প্রায় ২০টি চুমু খেতে হত তাকে।

এসএসএইচ