এফআইআর দায়ের করলেন কঙ্গনা
বলিউডের সবসময়ের আলোচিত-সমালোচিত একটি নাম কঙ্গনা রানাওয়াত। এ অভিনেত্রী আবারও আলোচনায়। এবার ভিন্ন কারণে। তিনি নাকি খুনের হুমকি পাচ্ছেন। কৃষকদের বিক্ষোভকে খলিস্তানি আন্দোলন আখ্যা দেওয়াতেই নাকি তিনি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, কারণ এ অভিনেত্রী বিষয়টি নিয়ে হিমাচল প্রদেশের একটি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ইনস্টাগ্রাম-এ এফআইআরের কপি শেয়ার করে মনিকার্ণিকা তারকা লেখেন, ‘মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদদের স্মরণ করে আমি লিখেছিলাম, বিশ্বাসঘাতকদের কখনও ক্ষমা করবেন না বা ভুলে যাবেন না। এ ধরনের ঘটনায় দেশের অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসঘাতকদেরও হাত থাকে। কখনও অর্থ, কখনও বা পদ-ক্ষমতার লোভে দেশদ্রোহীরা বারবার ভারত মাতাকে কলঙ্কিত করেছে। আমি প্রতিনিয়ত হুমকি পাচ্ছি। বাথিন্ডার এক বাসিন্দা প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ ধরনের হুমকিতে আমি ভীত নই। যারা দেশ ও সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি এবং সবসময় বলব।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এফআইআর দায়ের করেছি। আশা করি, পঞ্জাব সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ করবে।’
এর আগে কঙ্গনার বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছিল এফআইআর। শিখ সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্য তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে শিখ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন কঙ্গনা। অমরজিৎ সান্ধু নামে এক ব্যক্তি কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং শিরোমনি অকালি দলের নেতারাও সমর্থন করন তাকে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু থেকে শুরু, তারপর থেকে আর যেন থামতেই চান না কঙ্গনা রানাওয়াত। হুগলি থেকে হনুলুলু... যে-কোনও বিষয় নিয়েই তাকে মত প্রকাশ করতে হবে। সম্প্রতি তিনি যেন সব মাত্রাই ছাড়িয়ে গেলেন। একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘১৯৪৭ সালে পাওয়া স্বাধীনতা আসলে স্বাধীনতা নয়। ছিল ভিক্ষা। স্বাধীনতা তো ২০১৪ সালে এসেছে।’ এরপরই তার পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাহারের দাবি তুলে গর্জে ওঠে কংগ্রেস, শিবসেনা, এনসিপি, আম আদমি পার্টির মতো বিরোধী-সহ বিজেপি-র সহযোগী হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা (হাম)।
এসএসএইচ