স্বাধীনতার প্রশ্নে পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার বাজি কঙ্গনার
ভারতের চতুর্থ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কারও প্রতি রাগ বা অভিমান থেকে নয়, ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্যের চ্যালেঞ্জে হেরে গেলে সম্মাননা ফিরিয়ে দেওয়ার বাজি ধরেছেন তিনি।
কঙ্গনার এমন বাজি ধরার কারণ কী? কিছুদিন আগেই ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে কঙ্গনার করা মন্তব্য নিয়ে ঝড় ওঠে। তার দাবি ১৯৪৭ সাল নয়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে দেশ। এ নিয়েই তুলকালাম কাণ্ড। তবু নিজের অবস্থান থেকে এক পাও সরতে নারাজ কঙ্গনা।
বিজ্ঞাপন
তার দাবি, ‘১৮৫৭ সালে প্রথমবার ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগঠিত স্বাধীনতার লড়াই হয়। রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর পর সুভাষ চন্দ্র বসু, বীর সাভারকারজীর মতো মহান ব্যক্তিরা আত্মবলিদান দেন দেশের জন্য। ১৮৫৭ সালের যুদ্ধে কথা আমি জানি। কিন্তু দয়া করে বলবেন ১৯৪৭ সালে দেশ কোন যুদ্ধ লড়েছিল? আমি অন্তত সেই যুদ্ধে কথা জানি না। যদি কেউ এ বিষয়ে আমার জ্ঞান বাড়াতে পারেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমি ক্ষমা চাইব এবং একই সঙ্গে পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেব।’
এখানেই শেষ নয়। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আমি শহীদ রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের ওপর ছবি তৈরি করেছি। তখন ১৮৫৭ সালের যুদ্ধ নিয়ে এক্সটেনসিভ রিসার্চও করেছি। সেই সময় প্রথম ন্যাশনালিজমের জন্ম হয়, রাইট উইং সামনে আসে। কিন্তু হঠাৎ করেই তা মরে গেল কেন? কেন গান্ধীজী ভগত সিংকে মরতে দিলেন? কেন নেতা বসুকে মেরে ফেলা হলো? কেন নেতাজী গান্ধীজীর কোনো সাপোর্ট পেলেন না? এক সাদা চামড়ার ব্যক্তিকে কেন দেশ ভাগ করার অধিকার দেওয়া হলো? স্বাধীনতা সেলিব্রেট করার পরিবর্তে কেন ভারতীয়রা একে অপরকে খুন করতে লাগলেন? আমি এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। কেউ আমাকে প্লিজ সাহায্য করুন।’
কঙ্গনা একবার মুখ খুললে তার কথা যে থামতেই চায় না, তা আগেও বহুবার দেখা গেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। তার মতে, ১৯৪৭ সালে শারীরিক স্বাধীনতা পেয়েছিল ভারত। কিন্তু মানসিকতার স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে। এ প্রথমবার নাকি ইংরেজি বলতে না পারার জন্য অথবা ছোট শহর থেকে আসার জন্য কাউকে ঠাট্টার শিকার হতে হচ্ছে না।
পোস্টের একদম শেষে রয়েছে কঙ্গনার এক্সপার্ট কমেন্ট। ‘যারা চোর তাদের তো গায়ে জ্বালা ধরবেই। কেউ সেই আগুনে জল ঢালতে পারবে না। জয় হিন্দ।’
সূত্র: এই সময়
এসএসএইচ