সেরা পার্শ্বচরিত্রের অভিনেত্রী হিসেবে তিনি অর্জন করেছিলেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একবার নয়, তিনবার! এছাড়া একটি ফিল্মফেয়ারও রয়েছে তার ঝুলিতে। এরপরও অর্থাভাবে থেকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রি।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলিউডের গুণী এই অভিনেত্রী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

অনেক বছর ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন সুরেখা সিক্রি। ২০১৮ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর পক্ষাঘাত হয়ে যায় তার। এরপর ২০২০ সালে ফের ব্রেন স্ট্রোক। তখন থেকেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি।

জানা যায়, অর্থের অভাবে সুরেখার চিকিৎসা ঠিকমতো চলছিল না। ওই সময়ে অবশ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ, গজরাজ রাও এবং নির্মাতা অমিত শর্মা। তবে নিজের এই অর্থকষ্টের কথা প্রকাশ্যে আনতে চাননি অভিনেত্রী। তিনি চেয়েছিলেন সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে। কাজের সহযোগিতাই চেয়েছিলেন সবার কাছে।

মঞ্চ, ছোট পর্দা এবং সিনেমা সবখানেই তুখোড় অভিনয় করেছেন সুরেখা। বিখ্যাত হিন্দি ধারাবাহিক ‘বালিকা বধূ’-তে তার অভিনয় দর্শকের মুগ্ধ করেছিল। অন্যদিকে ‘তমাস’, ‘মাম্মো’, ‘বাধাই হো’, ‘জুবেদা’ ও ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

বিশেষ করে ‘বাধাই হো’ সিনেমার দাদি চরিত্রে তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিল। এজন্য তিনি ২০১৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ এবং ১৯৯৫ সালে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।

কেআই