সিনেমার প্রতিটা কাজ অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে করেন বিধায় আমির খানকে বলা হয় মিস্টার পারফেকশনিস্ট। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি খুঁতখুঁতে। সে কারণেই হয়ত প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে খুব একটা ভাবেননি।

১৯৮৬ সালে রীনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির খান। তখনও তিনি তারকা হয়ে ওঠেননি। আমিরের তারকাখ্যাতি আসে ১৯৮৮ সালের ‘কায়ামাত সে কায়ামাত তাক’ সিনেমা দিয়ে। যেখানে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তার স্ত্রী রীনাও।

রীনা দত্ত পরবর্তীতে প্রযোজনায় আসেন। আমিরও ব্যস্ত হয়ে পড়েন সিনেমায়। এর পাশাপাশি সংসারেও তারা ছিলেন মনোযোগী। তাদের ঘর আলো করে আসে জুনায়েদ খান ও ইরা খান নামের দুই সন্তান। সুখের সেই সংসার টিকে ছিল দীর্ঘ ১৬ বছর। ২০০২ সালে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন আমির ও রীনা।

এরপর আমিরের জীবনে আসেন কিরণ রাও। জানা যায়, একটা সময় রীনা দত্তের সহকারী ছিলেন কিরণ রাও। সেই সুবাদেই আমিরের সঙ্গে কিরণের পরিচয় হয়েছিল। এরপর আমিরের ‘লাগান’ সিনেমাতে তাকে সহকারী পরিচালক হিসেবে নেওয়া হয়।

২০০২ সালের পর থেকে কিরণের সঙ্গে লিভ-ইন শুরু করেন আমির। টানা তিন বছর তারা একসঙ্গে থাকার পর ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। সংসারের পাশাপাশি তারা সিনেমাতেও যৌথভাবে কাজ করেছেন। আমির খান অভিনীত ‘তালাশ’, ‘দঙ্গল’ এবং ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ সিনেমাগুলোর প্রযোজনায় ছিলেন কিরণ। এছাড়া নির্মাতা এবং চিত্রনাট্যকার হিসেবেও পরিচিত তিনি।

আমির ও কিরণ দম্পতির সংসারে রয়েছে একটি পুত্র সন্তান। তার নাম আজাদ। ২০১১ সালে সারোগেসি পদ্ধতিতে এই সন্তানের জন্ম হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ বছর সংসার করার পর শনিবার (৩ জুলাই) বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন আমির খান ও কিরণ রাও। তারা জানিয়েছেন, আলাদা হয়ে গেলেও ভবিষ্যতে নিজেদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন।

কেআই/আরআইজে